কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বাজার দর: ইফতার সামগ্রীসহ বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

রোজা ও লকডাউনের অজুহাতে আবারও বেড়েছে ইফতার সামগ্রী ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুন, লেবু, চিনি, বেসন, খেসারি ডাল, চিড়া, মুড়িসহ দাম বেড়েছে সবধরনের ইফতার সামগ্রীর। এছাড়াও বেড়েছে পেঁয়াজ ও আদার দাম।

করোনা পরিস্থিতিতে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের ভোক্তারা।

কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায়, নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ৮০-১০০ টাকা, খিরা ৫৫-৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০-৭০  টাকা, আলু ২৫ টাকা, প্রতিকেজি বেসন ১০০ টাকা, খেসারি ডাল ১১৫ টাকা, ছোলা ৭৫ টাকা, চিড়া ৬০ টাকা, মুড়ি ৮৫ টাকা, সাধারণ খেজুর ২৫০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অথচ গত তিনদিন আগে প্রতিকেজি বেগুন ৩০ টাকা, খিরা ২৫ টাকা, আলু ২০ টাকা, প্রতিকেজি বেসন ৫০ টাকা, খেসারি ডাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, ছোলা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, চিড়া ৫৫ টাকা, মুড়ি ৭০ টাকা, খেজুর ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া বাজারে সবজির দাম বেড়েই চলছে। বরবটি ৫০, টমেটো ৩৫ থেকে ৪০, পটল ৪০ গাজর ৩৫ থেকে ৪০, করল্লা ৫০ থেকে ৬০। শসা ৬০ থেকে ৭০, কচি লাউ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মুলা ৪০টাকা, কাঁচা আম ৯০ থেকে ৯৫, পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০, রসুন ১২০ থেকে ২৫, ঢ্যাড়স ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।

এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম কমে ডজন এখন ১৩৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা।

মাংসের দাম

এদিকে পোল্ট্রি মুরগি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজিতে ২০ টাকা দাম কমে বিক্রি হচ্ছে সোনালি (কক) মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। লেয়ার মুরগি কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকা।

অপরিবর্তীত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়।

চালের দাম

মিনিকেট ৬৫, নাজিরশাল ৭০, আটাশ চাল ৫৫, সয়াবিন তেল ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

মাছের দাম

বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (সাইজভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৬০০ টাকা, প্রতি এক কেজি শিং মাছ (সাইজভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, কৈ দেশি মাছ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (সাইজভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ১২০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়ালমাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ২০০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় মাছ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আসা চাকরীজীবী দবির ইসলাম বলেন, রমজান মাসের শুরুতেই  ইফতার সামগ্রীর দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের মত নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে এমনিতেই বিপদে আছি অথচ এ সময় ইফতার সামগ্রীর দাম বেড়েই চলেছে।

কাওরান বাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন, দাম কিছুটা বেড়েছে, বেশি বাড়েনি সব কিছুই কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা বেড়েছে।

পলাশী কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি ইফতার সামগ্রীর দাম আগের চেয়ে বেশি।

ইফতার সামগ্রী কিনতে আসা আজিমপুর এলাকার বাসিন্দা খাদিজা আক্তার বলেন, আলু, বেগুন, ভেষন নিয়মিতই কিনি। কিন্তু আজকের দাম সবকুছুতেই বেশি। এটা আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কষ্টের।

পাঠকের মতামত: