কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ভারতে ঘূর্ণিঝড় তাউতে’র তাণ্ডব, নিহত ৬

প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘তাউতে’ আঘাত হেনেছে ভারতের চার রাজ্যে। ঝড়ের আঘাতে শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত কর্নাটকে চারজন ও কেরালায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্নাটকে ঝড়ের দাপটে ৭৩টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের যে ছয়টি জেলায় ঝড়ের দাপট সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে তিনটি উপকূলবর্তী ও তিনটি পশ্চিমঘাট পর্বত সংলগ্ন।

রবিবার বেলা বাড়তেই গোয়া সমুদ্র উপকূলে ঝড়-বৃষ্টির প্রভাব বেড়েছে। উপড়ে গেছে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। গোয়ার একটা বড় অংশে ঝড়ের দাপটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে বহু রাস্তা।

দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে শনিবার রাত আড়াইটা নাগাদ এই ঝড়টি ছিল গোয়া থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার, মুম্বাই থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও গুজরাত উপকূল থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে। মঙ্গলবার সকালে তকতে গুজরাতের উপকূল, পোরবন্দর ও ভাবনগর জেলার মহুভা এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। ঝড়ের শক্তি অনুমান করার জন্য আগামী ১২ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

রবিবার সকাল থেকেই মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্নাটক ও গুজরাত, অর্থাৎ ভারতের পশ্চিম উপকূল জুড়েই ঝড়ের আগাম প্রভাব পড়তে শুরু করে। উত্তাল হয় সমুদ্র। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, দিউ-এর উপকূলবর্তী অংশে বিপুল বৃষ্টি চলবে। শুধু তাই নয় কেরল, তামিলনাড়ু উপকূলেও সমুদ্রের বিশাল ঢেউ জানান দিচ্ছে ঝড়ের ভয়াবহতা।

কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার জানিয়েছেন, তাউতে কর্নাটকের উপকূলে আংশিকভাবে আঘাত হেনেছে।

বৃহন্মুম্বই পৌরসভার তরফ থেকে বলা হয়েছে, ৫০০ করোনা আক্রান্তকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গেছে প্রশাসন। ঝড়ের জন্য বন্ধ হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্দেশ দিয়েছেন যেন এই ঝড়ের কারণে করোনা চিকিৎসায় কোনো সমস্যা না দেখা যায়। হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাকি সব পরিষেবা নির্বিঘ্ন রাখতেও নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে ঝড়ের সময় দলের কর্মীদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে টুইট করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি।

পাঠকের মতামত: