কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ভাসানচরে স্থানান্তর হল আরও ২২৬০ জন রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া আরও ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১১ হাজার ৮৫২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হল। আগামীকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আনার পর আরও ১ হাজার ৮০০ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্পে পাঠানো হবে।

আজ বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ছয়টি জাহাজ নগরীর পতেঙ্গা বোটক্লাব সংলগ্ন জেটি ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক।

এ দফায় ২ হাজার ২৬০ জনের রোহিঙ্গাকে মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়। বুধবার ভোর থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের জাহাজে ওঠানো হয়।
এসময় রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এবার পরপর দুইদিনে প্রায় হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্যেই আমরা প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়েছি।

আগামীতে স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহী আরও রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে তিন বছর আগে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নেয়। এর আগে থেকে আরও প্রায় দুই লক্ষাধিক রোহিঙ্গা কক্সবাজারের নিবন্ধিত ক্যাম্পে অবস্থান করে আসছে। ২০১৭ সালের ২৫আগস্ট থেকে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

যার ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শরণার্থী বা উদ্বাস্তুর ঠিকানা এখন বাংলাদেশ।
এদিকে কক্সবাজারের মাত্র দুটি উপজেলায় লাখ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেওয়ার ফলে পরিবেশ ও সামাজিক বিপর্যয়সহ নানা সমস্যা দেখা দিলে সরকার এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় এবং পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন শুরু করে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ভাসানচরে প্রায় ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে গত বছর থেকে ধাপে ধাপে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর শুরু করে সরকার।

পাঠকের মতামত: