কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ভুল ভেঙেছে, ভাসানচরে ‘স্বস্তিতে’ রোহিঙ্গারা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ভাসানচর নিয়ে রোহিঙ্গারা তাদের ‘ভুল বুঝতে পেরেছে’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আমরা মনে করছি, ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে স্বস্তিবোধ করছে। তাই তারা দলে দলে এখানে আসতে শুরু করবে। তাদের ভুল ভেঙেছে। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা আরও বাড়বে।’

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালীর ভাসানচর থানা উদ্বোধন করতে গিয়ে অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ধীরে ধীরে ভাসানচর একটি সমৃদ্ধময় এলাকা হবে। ভবিষ্যতে এই থানাকে প্রয়োজনীয় জনবলসহ সবদিক দিয়ে আরও শক্তিশালী করা হবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি আয়েশা ফেরদাউস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল উদ্দীন, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন, ও জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ভাসানচর মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা একটি দ্বীপ। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৬ কিলোমিটার। আয়তন প্রায় ৬৫ বর্গ কিলোমিটার। হাতিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পূর্বে ও চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলা থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬টি মৌজা নিয়ে এ থানা গঠিত। ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ এ বসবাসকারী মিয়ানমার হতে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাসহ অন্যান্যদের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতের জন্য ১ জন পুলিশ পরিদর্শক (অফিসার ইনচার্জ), ২ জন এসআই (নি:), ৪ জন এএসআই (নি:), ১৭ জন কনস্টেবলসহ মোট ২৪টি পদ নিয়ে ভাসানচর থানার কার্যক্রম শুরু হলো।

ভাসানচরে ১ লাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের পরিকল্পনায় তাদের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে এ থানা অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) এর ১১৬তম সভায় ভাসানচর থানা স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

পাঠকের মতামত: