কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ভেসে আসা মৃত তিমিটির কঙ্কাল সংরক্ষণ করা হবে

কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে শুক্রবার ভেসে আসা মৃত তিমিটি বালুচরে পুঁতে ফেলা হয়েছে। তবে দুই মাস পর ওই জায়গা থেকে তিমির কঙ্কাল সংগ্রহ করে গবেষণার জন্য সংরক্ষণ করা হবে।

গতকাল সকালে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসে অন্তত ৪০ ফুট লম্বা এই তিমি। আড়াই টন ওজনের নীল তিমিটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, মৃত তিমিটি দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। তাই গতকাল গভীর রাতে মাছটি হিমছড়ি সৈকতের বালুচরে পুঁতে ফেলা হয়েছে। জায়গাটি চিহ্নিত করা আছে। দুই মাস পর ওই জায়গা থেকে তিমির কঙ্কাল সংগ্রহ করে গবেষণার জন্য সংরক্ষণ করা হবে।

হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) মিজানুল হক বলেন, গতকাল সকালের জোয়ারে তিমিটি উপকূলে ভেসে আসে। বিকেল চারটার দিকে আবার জোয়ার হলে তিমিটি সাগরে ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, তখন মাছটির মাথা ও লেজে মোটা রশি বেঁধে আটকানো হয়।

সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশরাফুল হক বলেন, অন্তত ১০ থেকে ১৫ দিন আগে তিমিটির মৃত্যু হতে পারে। এটি নীল তিমি। এ তিমির দাঁত থাকে না।

তিনি জানিয়েছেন, গতকাল রাতে মৃত তিমির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে বলা যাবে, তিমির মৃত্যু কীভাবে হয়েছে।

স্থানীয়রা শুক্রবার জানিয়েছিলেন, তিমিটির পেছনের দিকের অংশে বড় ক্ষত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আঘাতের জন্য এটি মারা গেছে। গভীর সাগরের কোথাও এটিকে শিকারিরা হত্যা করেছে। মারা যাবার পর ভাসতে ভাসতে এটি সৈকতের তীরে ভিড়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

তিমিটির বয়স আনুমানিক ২০ বছর হতে পারে। তিমিটি লম্বায় ৪০ ফুট, প্রস্থ প্রায় সাত ফুট।

পাঠকের মতামত: