আলোচিত ও সমালোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসারকে গ্রেফতারের পর থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পিয়াসার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, বেশকয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় একটি গরুর ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন মডেল পিয়াসা। ওই ফার্মের জন্য টেকনাফ থেকে বার্মিজ গরু আনার সময় গরুর পেটে ঢুকিয়ে আনা হতো ইয়াবার চালান। এ কাজে পিয়াসার প্রধান সহযোগী হলেন জনৈক জিসান ও মিশু।
গত রোববার রাতে রাজধানীর বারিধারার বাসায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে আটক করা হয়। এরপর গভীর রাতে মোহাম্মদপুরে একটি বাসা থেকে ইয়াবাসহ মডেল মৌ আক্তারকে আটক করে ডিবি। পিয়াসা ও মৌ একই সিন্ডিকেটে কাজ করে।
nagad
পিয়াসার ঘরের টেবিল থেকে চার প্যাকেট ইয়াবা (কত পিস জানা যায়নি), রান্নাঘরের ক্যাবিনেট থেকে ৯ বোতল বিদেশি মদ, ফ্রিজে একটি আইসক্রিমের বাক্স থেকে সিসা তৈরির কাঁচামাল এবং বেশ কয়েকটি ই-সিগারেট পাওয়া গেছে। এছাড়া পিয়াসার কাছ থেকে ৪টি স্মার্টফোন জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আর মৌয়ের বাসার ভেতরে ড্রয়িং রুমের পাশেই একটি মিনি বার দেখা গেছে। বাসার ভেতরের বেডরুমের একটি ড্রয়ার থেকে পাঁচ প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ওই বেডরুমের ভেতরে আরেকটি ড্রেসিং রুম থেকে অন্তত এক ডজন বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারের পর সোমবার তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে গুলশান ও মোহাম্মদপুরে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর আদালতে উপস্থাপন করলে উভয়ের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদলত।
২০১৭ সালের মে মাসে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে নাম ছিল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার।
প্রথমে মামলা করতে ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করেছিলেন পিয়াসা। কিন্তু পরবর্তীতে সেই পিয়াসার বিরুদ্ধেই আবার মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগে জিডি করেছিলেন ভুক্তভোগীদের একজন।
চার বছর পর বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের প্রেমিকা মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আবারও আলোচনায় আসে এই পিয়াসা।
পাঠকের মতামত: