কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

মিয়ানমারে দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তায় হাজারো বিক্ষোভকারী

মিয়ানমারে সামরিক শাসনের প্রতিবাদ জানাতে দেশটির প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ। বিক্ষোভকারীরা মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির ছবি নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) পতাকার লাল রঙয়ের সঙ্গে মিল করে বিক্ষোভকারীরাও লাল রঙের পোশাক পরেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছেন, আজ রোববার ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ অংশ নেয় হাজারো মানুষ। প্রায় এক সপ্তাহ আগে মিয়ানমারে সংঘটিত সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো তারা গণবিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে নারী ও পুরুষ রয়েছেন। তাদের অনেকেই বয়সে তরুণ।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ব্যানার বহন করতে দেখা গেছে। একটি ব্যানারে লেখা ছিল ‘ভোটারদের সম্মান কর’। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন এনএলডি বিপুল জয় পায়। জনগণের ভোটের রায়ের সেই বিষয়টিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে ব্যানারে।

অনেক বিক্ষোভকারী প্রতিবাদী স্যালুটের প্রতীক হিসেবে তিন আঙুল প্রদর্শন করেন। বহন করেন লাল রঙের বেলুন। এই প্রতিবাদে সমর্থন জানিয়ে গাড়ি ও বাস হর্ন বাজায়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৩৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেন, ‘গণতন্ত্র না আসা পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা গণতন্ত্রের দাবি করেই যাব।’

বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছের বিভিন্ন সড়কে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষ আপাতত এসব গণবিক্ষোভ থামাচ্ছে না। তবে বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা, ভবিষ্যতে হয়তো তাঁদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

ইয়াঙ্গুন ছাড়াও মিয়ানমারের একাধিক শহরে আজ ছোটখাটো বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবারও দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহর ইয়াঙ্গুন ও রাজধানী নেপিডোয় হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেন। গতকাল শনিবার মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটিতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়। তার আগে তারা টুইটার ও ফেসবুক বন্ধ করে।

গত সোমবার মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। এই সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নির্বাচিত এনএলডির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। একই দিন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে।

পাঠকের মতামত: