কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

মোদিকে প্রতিহত করার ঘোষণা গোপালগঞ্জের আলেম-উলামাদের

ভারতের দিল্লিতে মুসলমানদের গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ, মসজিদ ভাঙচুরের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ।

প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসা প্রতিহত করার ঘোষণা দেন আলেম-উলামারা।

বুধবার বিকাল ৩টায় জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মুফতি উসামা আমীনের নেতৃত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে মুফতি উসামা আমীন বলেন, ভারতের দিল্লিতে মুসলমানদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। মুসলমানদের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। ঘর-বাড়িতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। মসজিদগুলোকে শহীদ করা হচ্ছে। অনতিবিলম্বে এই জুলুম, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করছি।

এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ করার জন্য আহ্বান জানান হয়।

সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সামছুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মাওলানা ফরিদ আহমেদ, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা কবিরুল ইসলাম, মুফতি হাফিজুর রহমান, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা জিনাত আলী, মাওলানা হায়াত আলী, মুফতি শুয়ায়েভ ইব্রাহীম, মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মাওলানা শাখাওয়াত হোসাইন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি অসাম্প্রদায়িক নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক কসাই নরেন্দ্র মোদিকে এ দেশের মানুষ দেখতে চায় না। অবিলম্বে মোদির আমন্ত্রণ বাতিল করা না হলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাকে প্রতিহত করবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।

এ ছাড়া এতে আইন-শৃঙ্খলার কোনো অবনতি ঘটলে সে দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে বলে জানান বক্তারা।

পাঠকের মতামত: