কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

যাচাই করা হচ্ছে কক্সবাজার জেলার ১’শত ৫৩ মুক্তিযোদ্ধার সনদ

ওসমান আবির::

কক্সবাজার জেলার ১শত ৫৩ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।তাদের মধ্যে কক্সবাজার সদরের ৩৮ জন,চকরিয়ার ৩৬ জন, কুতুবদিয়ার ৭ জন,উখিয়ার ২১ জন,মহেষখালীর ৯ জন,পেকুয়ার ১৭ জন,রামুর ২৪ জন ও টেকনাফের ১ জন।গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদন ছাড়াই যেসব মুক্তিযোদ্ধা সরাসরি মন্ত্রণালয় থেকে সনদ নিয়েছিলেন মূলত সেই সব মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই করা হচ্ছে।এসব মুক্তিযোদ্ধারা সনদ নিয়ে এখন সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।আগামী ৯ জানুয়ারীর মধ্যে তাদের যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হবে।

যাচাই-বাছাইয়ের জন্য উপজেলা ওয়ারী এই সব মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।জেলার সদর উপজেলার প্রকাশিত ৩৮ জনের মধ্যে রয়েছে ঈঁদগাহের ছুরত আলম(৫), মৃত জামাল হোসেন বাঙ্গালী(২৭৭), মৃত ছগির আহমদ(২৭৫), মৃত ছৈয়দ আহমদ(২৭৬), মৃত কবির আহমদ(২৮১),মোঃ আবু তাহের চৌধুরী(২৮৯), পৌরসভার আবুল কাশেম(১৪), ছলিম উল্লাহ সিকদার(১৫), মৃত নুরুল আমীন(১৬), ছৈয়দ করিম(১৮), মৃত হাবিবুর রহমান(২৭), আবু তাহের(২৯), আল মামুন শামসুল হুদা(৩০), আব্দুল কাদের(৩১),মোঃ মুজিবুর রহমান(৩২), মফিজুর রহমান(৩৩),মোহাম্মদ আলী(৩৪),সিরাজুল ইসলাম(৩৫),জালাল আহমদ(৩৬),মোঃ এচারুল হক চৌধুরী(৩৭),মনজুর আলম মজনু(৪৭), জালাল আহমদ(৪৯),আবু তাহের চৌধুরী(৫০),মোহাম্মদ মাসুদ কুতুবী(২৭২),তেজেন্দ্র মল্লিক(২৮০),বাশি মোহন বড়ুয়া(২৮৪),সেলিমুর রহমান(২৯৪), ইসলামাবাদের মৃত সাবেদ উল্লাহ(২৮২),ইসলাম আহমদ(২৯৩),এসটিএম রাজা মিয়া(২৬),খুরুশকুলের আব্দুল শুক্কুর(২৭৪),রাখাল কান্তি চক্রবর্তী(২৯২),ঝিলংঝার আহমুদুর রহমান(২৮৫),আব্দুল মান্নান(২৮৬),মোঃ আব্দুল খালেক(২৮৭)।

চকরিয়া উপজেলার মধ্যে রয়েছে মোঃ নুরুল আবছার আযম(৫৪),জাকের আহমদ(৫৫),কামাল উদ্দীন(৫৯),ছগির আহমদ(৬৪),মৃত মতিউর রহমান(৮৭),এন ইসলাম আহমদ(৯০),মৃত বদরুল হক চৌধুরী(৮৪),সেকান্দর হোসেন(১৩২),নুর হোসাইন(১৩৩),আবুল হোছাইন(১৩৭),গাজী গোলাম মাওলা(৭৪), তেজেন্দ্র লাল দে(৩৫২),মোহাম্মদ মুছা(৯১),মোহাম্মদ সেলিম নেওয়াজ(১১০),আনোয়ার হোসেন(১২২),কফিল উদ্দীন(১৫৭),প্রিয়তোষ দাশ(১১৪),বদিউল আলম(১২৬),সুনীল কান্তি দে(১৪৫),কামাল উদ্দীল(৫৯),তাহের আহমদ(৯৯),কে এম সালাহ উদ্দীন(১০০),মনিরুজ্জামান(১০৮),মোজাম্মেল হক(১১৫),মোহাম্মদ ইউনুচ(১১৬),খাইরুল আরম(১২৭),মৃত নুরুল কবির(১২৯,বদিউজ্জামান(১৩১),মোহাম্মদ হোছাইন(১৩৫),মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম(১৪৮),রেজাউল করিম চৌধুরী(১৪৯),মোঃ ফরিদ আহমদ(১৫০), জামাল উদ্দীন(১৫৫),আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম(২৯৫),নুর মোহাম্মদ(৩৩৫),এ,এইচ, সালাহউদ্দীন মাহমুদ(৩৪০), মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল(৩৪২)।

রামু উপজেলার মধ্যে রয়েছে অলুক বড়ুয়া(১৮৮),সুশীল বড়ুয়া(১৮৯),আবু আহমদ(১৯২),পরেশ বড়ুয়া(১৯৩),মোঃ হাসেম(১৯৪), স্বদেশ বড়ুয়া(১৯৫), বিন্টু মোহন বড়ুয়া(২০১), ভুলা শর্মা(২০৬), হারুন রশিদ(২০৭), গোলাম কাদের(২০৮), মৃত ডাঃ সুভাষ চন্দ্র শর্মা(২০৯),ফনিন্দ্র শর্মা(২১০), মৃত রশিন্দ্র বড়ুয়া(২১১), সিরাজুল হক(২১২),জালাল উদ্দীন মোহাম্মদ কাশেম(২১৩),সুকেন্দু বড়ুয়া(২১৪), মোহাম্মদ জাফর আলম চৌধুরী(৩১৬), আব্দুল হক(৩১৭), মনজুর আলম(৩১৮), মমতাজুল হক(৩১৯), মোঃ নুরুল ইসলাম(৩২১), মোহাম্মদ আব্দুর রহিম(৩২২), আলতাজ আহমদ সিকদার(৩৩৪), মরহুম আফছার কামাল চৌধুরী(৩৪৫)।

পেকুয়া উপজেলার মধ্যে রয়েছে মৃত বাদশা মিয়া(৭৯),অনিল কুমার নাথ(১২১),অজিত কুমার নাথ(১২৩),ধনঞ্জয় দেবনাথ(১২৪),সুকেন্দু বিকাশ নাথ(১৮২),এম, কামাল হোসেন(১৮৩), মোহাম্মদ হোছাইন(৩০৪), মোহাম্মদ আবুল কাশেম(৩০৫), এস,এম আবু বকর সিদ্দীক(৩০৬), মোহাম্মদ নুরুল কবির(৩০৭), মোঃ জাপর আলম(৩০৮), মোক্তার আহমদ(৩০৯), আফতাব উদ্দীন চৌধুরী (৩১০), জাফর আহমদ (৩১১), রমিজ উদ্দীন আহমদ(৩১২), জাকের আহমেদ(৩১৩),ছাবের আহমদ(৩১৪)।

মহেষখালী উপজেলার মধ্যে রয়েছে পুলিন বিহারী চৌধুরী(১৭১), বাচা মিয়া(১৭৩) ,আব্দুল হক(১৭৪),খগেন্দ্র লাল শীল(১৭৫), এম নুরুল আমিন হেলালী (১৭৯),মোঃ সলিমুল্লাহ খান(১৮০), মোঃ আমজাদ হোসেন(১৮১), মোহাম্মদ আবু জাফর ছিদ্দীকী(৩০১), নুরুল হক(৩৩৯)।

কুতুবদিয়া উপজেলার মধ্যে রয়েছে লিয়াকত আলী(১৬৪),শাহ আলম(১৬৮),মৃত আব্দুল গফুর(২৯৬),ডাঃ অরিন বরণ শীল(২৯৭),চৌধুরী মোহাম্মদ মমতাজউদ্দিন কুতুবী(২৯৮),ফারিক আহমদ(২৯৯),ছানাউল আলম(৩৩৭)

উখিয়া উপজেলার মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদ ইব্রাহিম আজাদ(২৩৭),মোঃ হাছান আলী(২৩৮)মৃত নজির আহমদ চৌধুরী(২৩৯),আব্দুস শুক্কুর(২৪০), রুহুল আমিন(২৪৪),জহির উদ্দীন কুতুবী(২৪৯),রহমত উল্লাহ(২৫০),এস এম মধুসূদন দে(২৫২), বাদল বড়ুয়া(২৫৭), মফিজ আহমদ(২৫৮),আবুল কাশেম(২৬১),মোহাম্মদ আব্দুল হাই(২৬২),তেজেন্দ্র লাল বড়ুয়া(২৬৩),কিরণ বিকাশ বড়ুয়া(৩২৪),দুলাল কান্তি দে(৩২৫),কাজী গিয়াস উদ্দীন(৩২৬),এস এম ইসহাক চৌধুরী(৩২৭),রণজিত কুমার বড়ুয়া(৩২৮),মাফজুল আহমদ(৩২৯),ফরিদ আহমদ চৌধুরী(৩৩২), মোহাম্মদ আবু তাহের(৩৪৩)।

টেকনাফ উপজেলার মধ্যে আব্দুস সালাম(২৩৪)।সে টেকনাফ উপজেলার শামলাপুরের বাসিন্দা।

এই সব মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব তথ্য দিতে হবে—পিতা-মাতাসহ নিজ নাম, বেসামরিক গেজেট নম্বর, জন্ম তারিখ, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সময়কাল, মুক্তিযুদ্ধের আগেকার ভূমিকা, প্রশিক্ষণ গ্রহণের স্থান, অস্ত্র পরিচালনা সংক্রান্ত তথ্য, কী কী অস্ত্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং তারিখ, কোন কোন জায়গায় সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, যুদ্ধকালীন কমান্ডারের নাম, সেকশন কোম্পানি প্লাটুন কমান্ডার কে ছিলেন, কোথায় কী ধরনের অস্ত্র সপর্মণ করেছেন, সেক্টর ও কমান্ডারের নাম, ভারতে ট্রেনিংরত অবস্থায় দেশ স্বাধীন হলে পরবর্তী ভূমিকা কী ছিল। ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তায় নাম রয়েছে এমন তিন জন সহযোদ্ধার প্রত্যয়ন।

তবে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তা বা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৩টি প্রমাণের মধ্যে রয়েছে, তাঁরা যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় পড়বেন না। তাঁদের নাম জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ওয়েবসা

পাঠকের মতামত: