কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

রামুতে নিচু এলাকা প্লাবিত: জনমনে আতংক

আবুল কাশেম সাগর, রামু::

কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল ও রেল লাইন স্থাপনে পানি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় রামু উপজেলার বেশীরভাগ ইউনিয়নের নিচুঁ গ্রাম প্লাবিত হয়ে বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। খোঁজ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা গেছে টানা কয়েক দিন বৃষ্টি হলেও মঙ্গলবার দিবাগত রাত হতে মুষলধারে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের রামু চৌমুহনীতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা দূ্র্বল হওয়ায় রাস্তার দুপাশে ডুবে গেছে, সকালে রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে গাছ পড়ে কিছুক্ষণের জন্য রামু কক্সবাজা সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়, এছাড়াও চালন্যাপাড়া, অফিসেরচর, মুসলিম পাড়া, আমতলিয়া পাড়া, হাইটুপি গ্রাম, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের নিচুঁ এলাকা, গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল গ্রাম, গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি, গর্জনিয়া বাজার, কাউয়ারখোঁপ ইউনিয়নের নিচুঁ এলাকা, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চরপাড়া ইলিশিয়া পাড়া সংযোগ সড়কটি ভেঙ্গে গেছে, ঈদগড় ইউনিয়নের নিচুঁ এলাকা, চাকমারকুল ইউনিয়নের জারাইতলী, নয়া পাড়া, শাহমদের পাড়া এলাকার নিচুঁ এলাকা, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের বেশ কিছু নিচুঁ গ্রাম প্লাবিত ও গ্রামীর আধপাকা সড়ক বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়াও বৃষ্টিত পানিতে উপজেলার সদর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসের চর, জুলেখার পাড়া গ্রামের কাচাঁ সড়কের দুপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি চলাচলে বিগ্নতা সৃষ্টি হওয়ায় রীতিমত সড়কে পানি জমে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছে এলাকার জনসাধারণ।

এব্যাপারে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুউদ্দীন অাহমেদ প্রিন্স জানান, অতিবৃষ্টিতর পানি ও পাহাড়ী ঢলে ইউনিয়নের বাঁকখালী নদীর পাশ দিয়ে যাওয়া চরপাড়া টু ইলিশিয়া পাড়া সংযোগ সড়কটি বিধবস্ত হয়ে ভরাচরাকুল, গর্জনিয়া পাড়া, সওদাগর পাড়াসহ বেশ কিছু এলাকায় পানি ডুকে বসতবাড়ি ডুবে গেছে। রেল লাইনের কাজের ফলে স্বাভাবিক পানি চলাচলে ব্যাহত হওয়ায় বসতবাড়িতে পানি উঠে যাচ্ছে। যা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান জরুরী।

এ ব্যাপারে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা জানান, অতিবৃষ্টির ফলে উপজেলার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অামরা নিচুঁ এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণকে নিরাপদে অাশ্রয়ে থাকার জন্য সাইক্লোসেল্টার গুলো প্রস্তুত রেখেছি। উপজেলার সকল জনসাধারণের দূর্যোগে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলেও জানান।

পাঠকের মতামত: