কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দিতে সুপারিশ, ৩ পুলিশ সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামের কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা পরিবারের ১০ সদস্যকে পাসপোর্ট দেয়ার সুপারিশ করার অভিযোগে তিন পুলিশ কর্মকর্তা সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারা বর্তমানে কেউ কক্সবাজারে নেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এ মামলাটি করেন সংস্থার উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে-কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সাবেক পরিদর্শক এসএম মিজানুর রহমান, রুহুল আমিন, প্রভাষ চন্দ্র ধর ও কক্সবাজার জেলার সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেনকে।

ওই রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যরা অবৈধভাবে ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়ায় ও স্মার্ট কার্ড পাওয়ায় সাবেক জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি পরিচয় গোপন করে পাসপোর্ট ও স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করায় রোহিঙ্গা পরিবারটির ১৩ সদস্যকেও আসামি করা হয়েছে।

আসামি রোহিঙ্গা নাগরিকরা হলেন- মো. তৈয়ব, তার তিন ভাই মোহাম্মদ ওয়াসেস, মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, মোহাম্মদ রহিম, স্ত্রী নূর হামিদা, সন্তান আব্দুর রহমান, আব্দুস শাকুর, নূর হাবিবা, বোন আমাতুর রহিম, ভগ্নিপতি নুরুল আলম ও বোনের তিন ছেলে মেয়ে আসমাউল হুসনা, আমাতুর রহমান ও মো. ওসামা।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, তৈয়বের পরিবারের আট সদস্যের পাসপোর্ট আবেদনে পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান তাদের পাসপোর্ট প্রাপ্তির সপক্ষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন। আর সেটি যাচাই বাছাই না করে একমত পোষণ করে অন্য পরিদর্শক প্রভাষ চন্দ্র ধর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলেন।

অপরদিকে তৈয়ব ও আমাতুর রহিমের পাসাপোর্ট আবেদনে পুলিশ পরিদর্শক রুহুল আমিন পাসপোর্ট প্রাপ্তির সপক্ষে প্রতিবেদন জমা দেয়ায় তারাও পাসপোর্ট পেয়ে যায়।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের রোহিঙ্গা জন্মনিবন্ধন বইয়ের চারটি পৃষ্টা এবং জাতীয়তা সনদের বালাম বই ‘গায়েব’ করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা সেগুলো যাচাই বাছাই করলে সহজেই তা ধরতে পারতেন। কিন্তু তারা তা করেননি।

মামলার এক পর্যায়ে বলা হয়, নূর মোহাম্মদ আনছারী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি আসামিদের রোহিঙ্গা উল্লেখ করে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিলের আবেদন করেছিলেন। নির্বাচন কমিশন থেকে তা যাচাই করতে বলা হলে তৎকালীন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন অভিযুক্তদের পক্ষে ‘শক্তিশালী নথিপত্র’ আছে বলে মতামত দেন। এছাড়াও আসামিদের ভোটর তালিকা নিবন্ধন ফরম-২ নির্বাচন কার্যালয়ে সংরক্ষিত না নেই।

পাঠকের মতামত: