কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়দের চোখের চিকিৎসা দিচ্ছে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল

কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে চোখের সব ধরনের সেবা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থা অরবিস ইন্টারন্যাশনাল। টেকনাফ-উখিয়া অঞ্চলে প্রথমবার এমন সুযোগ সৃষ্টির হওয়ায় খুশি সেবা গ্রহণকারীরা। মাত্র তিন বছরেই প্রায় দুই লাখ মানুষ সংস্থাটির সেবা নিয়েছে।

চোখে ছানি পড়ায় দৃষ্টিশক্তির ফেরার আশা হারিয়ে ফেলেছিলেন উখিয়ার এই বয়স্ক দম্পতি। বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একমাত্র ভিশন সেন্টার ক্যাম্পে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজারের চক্ষু হাসপাতালে ছানি অপারেশন। এরপর পৃথিবীর আলো নতুন করে ধরা দিয়েছে তাদের কাছে।
ওই দম্পতি জানান, কক্সবাজারে বায়তুশ শরফ হাসপাতালে অপারেশন করানোর পর আমি এখন পরিষ্কার দেখতে চাই।
শুধু বয়স্ক নয়, শিশু রোগীদের সেবায় কক্সবাজারের বায়তুশ শরফ হাসপাতালে অত্যাধুনিক বিভাগ খুলেছে অরবিস। প্রয়োজনে এসব শিশুর চট্টগ্রামের পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
বালুখালি ক্যাম্প ও উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চক্ষু চিকিৎসার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহের পাশাপাশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। প্রযুক্তির সহায়তায় স্থানীয় রোগীরা কক্সবাজারের বায়তুস শরফ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে টেলিমেডিসিন সেবাও নিচ্ছেন।
কক্সবাজার বায়তুশ শরফের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মিশকাতুল জাহান নূর বলেন, মার্চের ৮ তারিখ থেকে শুরু করে লকডাউন থাকা পর্যন্ত একদিনও বন্ধ ছিলো না। আর ফুল ডিউটি চলছে।
আরো বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে সেবা পৌছাতে কক্সবাজার অঞ্চলে সর্বাধুনিক চোখের সেবা নিশ্চিতের অঙ্গীকার অরবিস ইন্টারন্যাশনালের।
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইকবাল হোসেন বলেন, আমরা ক্যাম্পের ভিতরে ভিশন সেন্টার স্থাপন করেছি। বায়তুশ শরফ হাসপাতালকে ক্যাপাসিটি বাড়িয়েছে।
১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় পৌনে ২ লাখ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সাধারণ মানুষকে চোখের সেবা দিয়েছে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল। এর মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার রোগীকে কক্সবাজারের বায়তুশ শরফ হাসপাতালে নিয়ে এসে সার্জারিরও ব্যবস্থা করেছে তারা। সেবার এই সুযোগ তাই অব্যাহত রাখার দাবি ভুক্তভোগীদের।

পাঠকের মতামত: