কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়টি বাংলাদেশ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।‘ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে রাখাইন রাজ্যে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে এবং রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে নেদারল্যান্ডসকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফ ব্লক রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের সমর্থনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠিটি নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ আজ সোমবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ড. মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হস্তান্তর করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে এসব কথা বলেন। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়।

চিঠিতে নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফ ব্লক উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি মিয়ানমার সরকারের নৃশংসতার বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নেদারল্যান্ডস সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডস এবং কানাডার যৌথ বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিপক্ষে দায়ের করা গাম্বিয়ার মামলার সমর্থনে সার্বিক সহযোগিতার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। এ সময় নেদারল্যান্ডস ও কানাডা এ আদালতে একটি পৃথক যৌথ আবেদন পেশ করবে বলে জানানো হয়।

মিয়ানমারে গণহত্যার বিচার এবং গণহত্যা প্রতিরোধে গাম্বিয়া গত বছর আর্ন্তজাতিক ন্যায়বিচার আদালতে ১৯৪৮ সালের কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে মিয়ানমারের বিপক্ষে।

বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয়প্রাপ্ত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য নেদারল্যান্ডসের মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ উল্লেখ করেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে নেদারল্যান্ডস সরকারের অঙ্গীকারের বিষয়টিও তুলে ধরেন। হ্যারি ভারওয়েজ এ সমস্যার টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পাঠকের মতামত: