কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

শাহপরীরদ্বীপে বেড়িবাঁধ উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়ল সিসি ব্লক!

কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপে ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন প্রতিরক্ষার বেড়িবাঁধের অন্তত ১০টি স্থানে জোয়ারের পানির আঘাতে স্থাপিত সিসি ব্লক উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়েছে। এতে করে ওই এলাকার ৪০ হাজার মানুষের মাঝে আবারো আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দাবি, নকশার কিছুটা ত্রুটি থাকার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নকশা পরিবতনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে বেড়িবাঁধ নির্মাণাধীন রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণ কাজে তড়িঘড়ি করায় জোয়ারের পানিতে সিসি ব্লকগুলো সরিয়ে সমুদ্রে তলিয়ে যাচ্ছে। বাঁধ নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। এর মধ্যে অন্তত ১০টি মতো অধিক স্থানে সিসি ব্লকগুলো ধসে পড়ছে। দ্বীপের ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন দক্ষিণ পাশের মাঝের পাড়া, দক্ষিণ পাড়ার আধা কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অংশে ডাম্পিং ব্লক কম দেওয়ায় জোয়ারের পানির আঘাতে সিসি ব্লক উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়ছে। এতে নির্মাণাধীন এ বেড়িবাঁধের টেকসই ও স্থায়ীত্ব নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ রক্ষার বেড়িবাঁধটি বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষা। জোয়ারের সময় ঢেউয়ের পানি নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধে আছড়ে পড়ছে। পশ্চিমপাড়া, মাঝেরপাড়া থেকে দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধের সাগরের অংশে দুই রকমের সিসি ব্লক স্থাপিত করা হয়। মাঝের পাড়া থেকে দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত আধা কিলোমিটারের গত কয়েক দিনের জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে অন্তত ১০টি স্থানে ব্ললক ধসে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহেদ উল্লাহ বলেন, গত বছর বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হলে এলাকার শত শত লোকজন আশার আলো দেখতে পেলেও বাঁধে ধসের খবরে আবারো স্থানীয়রা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। কিছুদিন আগে দক্ষিণপাড়া এলাকার বাঁধের শেষাংশে ব্লক বসানোর কাজ খুবই তাড়াহুড়ার মাধ্যমে করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, দক্ষিণাংশে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে সেটি আসলে নকশার ত্রুটির জন্য হয়েছে। ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। নকশা পর্রিবতনের ব্যাপারেও আমাদের মতামত পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে।

তিনি আরও বলেন, বাঁধের যে অংশে এখন ঝুঁকি দেখা দিয়েছে নকশা করার সময় সেখানে চরটা অনেক দূরে ছিল। সাগরের অব্যাহত ভাঙনে বর্তমানে বাঁধের কাছে চলে আসায় বড় ঢেউগুলো বাঁধের ব্লকের ওপর আছড়ে পড়ছে। বাঁধের প্রতিরক্ষা ব্লকের সামনে আরও বেশি ব্লক দেওয়ার কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

পাঠকের মতামত: