কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সীতাকুণ্ডের ডিপোতে নিখোঁজদের তালিকায় রোহিঙ্গাও!

সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনায় নিঁখোজদের তালিকায় আছেন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকও! ওই রোহিঙ্গার নাম মোহাম্মদ ফারুক।

মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে ফারুককে খুঁজতে এসেছেন তার ভাই মোহাম্মদ কায়েস।

বিস্ফোরণে নিহত ৪১ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ১৫ জনের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি।

এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় বেশ কজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে একজন রোহিঙ্গা আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

খোঁজ না পাওয়া ওই রোহিঙ্গা নাগরিক মোহাম্মদ ফারুক কনটেইনার ডিপোটিতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁর ভাই মোহাম্মদ কায়েস। তিনি বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, পাঁচ মাস ধরে তাঁর ভাই বিএম কনটেইনার ডিপোটিতে কাজ করছিলেন।

মোহাম্মদ কায়েস বলেন, শনিবার রাতে আগুন লাগার পর ভিডিও করে ফারুক আমাদের আগুনের দৃশ্য দেখিয়েছিল। কিন্তু রাত ১০টার পর তাঁর আর কোনো খোঁজ পাইনি। ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করা আরেকজনের সঙ্গে রোববার সকালে যোগাযোগ করলে সে জানায় আহত অবস্থায় ভাইকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখেছে। কিন্তু এরপর ভাইকে কোন ওয়ার্ডে নেওয়া হয় সেটি জানতে পারিনি।

কায়েস আরও বলেন, আমরা এসে হাসপাতালে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ভাইয়ের সন্ধান পাইনি। শুনেছি-ফারুক নামের একজনকে আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। তিনি আমার ভাই কিনা জানি না।

পরিবার নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকেন কায়েসরা। এই তরুণের দাবি, ডিপোটিতে আরও অন্তত ২০ জন রোহিঙ্গা কর্মরত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে বিএম ডিপোর মুখপাত্র মেজর (অব) শামসুল হায়দার সিদ্দিকি বলেন, ডিপোতে রোহিঙ্গা কেউ কাজ করতেন এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে জেলা প্রশাসনের বুথে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট হুসাইন মুহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, এখনো পর্যন্ত এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। তবে, আমরা খোঁজ নিচ্ছি। সুত্র: বাংলানিউজ

পাঠকের মতামত: