কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকরা ফিরবেন আজ

আব্দুস সালাম, টেকনাফ::

টেকনাফের সেন্টমার্টিনদ্বীপে ভ্রমণে এসে আটকে পড়া চার শতাধিক পর্যটক আজ ফিরবেন বলে জানা যায়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত চারদিন ধরে তারা দ্বীপে আটকে ছিলেন। রবিবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে সেন্টমার্টিন থেকে ছেড়ে আসা জাহাজে তাদের ফেরত আসার কথা রয়েছে। গত বুধবার কক্সবাজারের পর্যটকবাহী কর্ণফুলী জাহাজ ও নৌযানে ভ্রমণে এসে পর্যটকরা আটকা পড়েন।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সূত্রে যায়, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় কক্সবাজারের উপকূলে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে। সাগরও স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে সব ধরনের নৌযানকে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ’র চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক নয়ন শীল বলেন, ‘আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় কক্সবাজার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। ওই জাহাজে করে দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা ফেরত আসবেন। ’
দ্বীপের বাসিন্দা নুর মুহাম্মদ বলেন, চারদিন ধরে দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা নিরাপদে আছেন। তবে অনেকে টাকার সংকটে পড়েছেন।

আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় আজ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজসহ নৌযান চলাচল করলে পর্যটকরা দ্বীপ ছেড়ে যাবেন।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুর আহমেদ বলেন, ‘আটকে পড়া পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য কক্সবাজার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ রওয়ানা হয়েছে। রবিবার বিকালে সেন্টমার্টিন ত্যাগ করবেন তারা। এদিকে টেকনাফে আটকে পড়া দ্বীপের বাসিন্দারও ফিরতে পারবেন। ’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ফের জাহাজ চলাচল শুরু হলে দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের ফেরত আনা হবে।

পর্যটকবাহী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজের কক্সবাজারের ব্যবস্থাপক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিনেরর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। ফেরার পথে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটদের নিয়ে আসা হবে।

সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই (উপপরিদর্শক) মো. তারেক মাহামুদ বলেন, ভ্রমণে এসে দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের স্বার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা হচ্ছে। দ্বীপে তারা নিরাপদে আছেন। কোনও পর্যটকের কাছ থেকে কোনও অভিযোগ আসেনি। কক্সবাজার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। বিকালে পর্যটকরা দ্বীপ ত্যাগ করবেন বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: