কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সেন্টমা‌র্টিন দ্বীপ পরিদর্শনে চার দেশের রাষ্ট্রদূত

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ¡াসহ নানা ধরনের দুর্যোগের ঝুঁকির মাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তারই অংশে জলবায়ু পরিবর্তনে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে কেমন প্রভাব ফেলেছে সেটি দেখতে পরিদর্শনে এসেছেন বাংলাদেশ নিযুক্ত চার বিদেশি রাষ্ট্র দূত।

এদের মধ্যে ছিলেন- মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, জাপানের ইতো নাওকি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার্লস হোয়াইটল ও অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রাওয়ার।

সোমবার (৮ অক্টোবর) সকালে টেকনাফ কোস্ট গার্ডের স্পীড বোট নিয়ে সেন্টমার্টিন পৌছেন। এরপর দ্বীপ ঘুরে দেখে বিকেলে সেন্টমার্টিন ত্যাগ করেন।

এসব তথ্য জানিয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, “জলবায়ু পরিবর্তনে দ্বীপের পরিবেশে উপর কেমন প্রভাব ফেলেছে, সেটি দেখতে বাংলাদেশ নিযুক্ত চার বিদেশি রাষ্ট্র দূত প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিভিন্ন অংশে ঘুরে দেখেছেন। এসময় দ্বীপের সৌন্দর্যদেখে মুগ্ধতা হয়েছেন তাঁরা।”

এদিকে সেন্টমার্টিন পরিদর্শনের বিষটি টুইট বার্তায় তুলে ধরেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটল। দ্বীপটির সৌন্দর্যের মুগ্ধতার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ইতো লিখেছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিদর্শন করে মুগ্ধ হয়েছি। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উচ্চ জোয়ার, লবণাক্ততা এবং প্রবাল বিনষ্টের জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে দক্ষিণের এই দ্বীপের পরিবেশের ওপর জলবায়ু পরিবর্তন দ্রæত প্রভাব ফেলেছে। এটি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করছে।

অন্যদিকে ইইউর রাষ্ট্রদূত টুইটে লিখেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র প্রভাব সেন্টমার্টিন দ্বীপে একটি বাস্তবতা। যার মধ্যে রয়েছে উপকূলীয় ক্ষয় প্রবালের বিনষ্টতা এবং সমুদ্রের জীবন ক্ষয়।

পাঠকের মতামত: