কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

স্ত্রী-সন্তানসহ তিনজনকে হত্যার নেপথ্যে ‘পরকীয়া’

নিজের স্ত্রীর অন্য পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের এএসআই সৌমেন রায়।সোমবার (১৪ জুন) আদালতে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ঘাতক সৌমেন রায়।

কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে গুলি করে মা, ছেলেসহ তিনজনকে হত্যার আসামি পুলিশের এএসআই সৌমেন রায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এর আগে, বেলা দেড়টায় কড়া পুলিশ পাহারায় তাকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে আসা হয়। জবানবন্দি শেষে সৌমেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার (ওসি) তদন্ত নিশিকান্ত সরকার জানান, নিহত আসমার মা হাসিনা খাতুনের দায়ের করা মামলায় আদালতে আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন জানানো হয়। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এনামুল হক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
জবানবন্দিতে সৌমেন রায় হত্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘স্ত্রীর অন্য পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।’
রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে বিকাশকর্মী শাকিল খানের সাথে দেখা করতে কুষ্টিয়ার কাস্টমমোড়ে নাজ ম্যানশনে বিকাশের দোকানে আসেন আসমা ও তার শিশু সন্তান রবিন। সেখানে আসমার স্বামী পুলিশের এএসআই সৌমেন রায়ও আসেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সৌমেন রায় তার নিজের পিস্তল দিয়ে শাকিল খান ও আসমার ওপর গুলি চালায়। সেখান থেকে শিশু রবিন বাইরে চলে আসলে দোকানের সামনে পেছন থেকে তার ওপর গুলি চালায় সৌমেন, রবিন পড়ে গেলে কাছে এসে তার মাথায় আরও একটি গুলি চালায় সে। জনতা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে সৌমেনকে আটক করে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে তিনজনই মারা যান।
ঘটনার পর গ্রেপ্তার পুলিশের এএসআই সৌমেন রায়কে বরখাস্ত করা হয়। এছাড়াও এ ঘটনা তদন্তে আলাদা দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশ।

পাঠকের মতামত: