কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

হরতালে যেখানেই বাধা, সেখানেই প্রতিহত: মামুনুল হক

নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে হেফাজতে ইসলাম। শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, উত্তরা এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় কর্মসূচি পালন করেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা।

কর্মসূচি থেকে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, আগামীকালের (রোববার ২৮ মার্চ) হরতাল কর্মসূচিসহ তাদের কর্মসূচিতে যেখানেই বাধা দেয়া হবে, সেখানেই প্রতিহত করা হবে।
নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে শনিবার দুপুর ১২টায় হেফাজতে ইসলামের পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাকা মহানগর ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সামনে জড়ো হন। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতারা বলেন, রোববারের হরতালে বাধা দেওয়া হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। রাজধানীর উত্তরাতেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন হেফাজত নেতাকর্মীরা। উত্তরা পলওয়েল মার্কেটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় হেফাজতের ডাকা হরতালকে সফল করতে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার আহ্বান জানানো হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এ কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি।

এদিকে হেফাজতের কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের পর বিক্ষোভ ও হরতালের কর্মসূচি দেয় ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।
এদিকে, পল্টন, প্রেসক্লাব, বাইতুল মোকাররম ও এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে শনিবার বিক্ষোভ এবং রোববার সারাদেশে হরতাল ডাক দেন তিনি।
গতকাল জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোদিবিরোধী বিক্ষোভের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে মুসল্লিদের দু-গ্রুপের সংঘর্ষে হয়। জুমার নামাজের পর দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পল্টন এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। ব্যবহার করেছে জল কামানও। আহত হন সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক। আহতদের ঢাকা মেডিকেলসহ কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। হেফাজতপন্থি মাদ্রাসাছাত্ররা এখনো সড়কে অবস্থান করছে। সড়কের ওপর বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। হাটহাজারী, রামগড়সহ এই পথ দিয়ে চলাচল করা মানুষকে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে। বিকল্প পথ দিয়ে সবাইকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার আড়াইটা থেকে চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ এ পথটি বন্ধ রয়েছে। শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে পুনরায় মাদ্রাসাছাত্ররা সড়কটি অবরোধ করে রাখে।
এ ছাড়া হাটহাজারী এলাকার প্রধান সড়কের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
গতকাল চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ জন নিহতের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসাছাত্রদের বিক্ষোভ চলাকালে আশিক (২০) নামে এক তরুণ নিহত হন।

পাঠকের মতামত: