কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

মুজিববর্ষ

১৭ মার্চ শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলতে চান মোদি!

শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় কমিটির সদস্য কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে যে রকম বড় করে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল সেটি ওই মাপে আর হচ্ছে না। ওই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকার এবং বক্তৃতা করার কথা ছিল মোদিসহ অন্যান্য রাষ্ট্রনেতার।

তবে সূত্রের খবর, সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে ঢাকাকে জানানো হয়েছে, ওই দিন ভিডিও কনফারেন্স-এর মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংযোগ করাতে উৎসুক সাউথ ব্লক। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এরআগে করোনাভাইরাসের কারণে এর আগে বেলজিয়াম সফর বাতিল করেছেন মোদি। তবে বাংলাদেশে আসা এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়ে গিয়েছিলো আগেই। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার খসড়া তৈরি করার জোরদার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল।

সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ভিডিও কনফারেন্স-এর মাধ্যমে যার কিছুটা পৌঁছে দিতে চাওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আজ বিবৃতি দিয়ে জানান, ‘যে পরিস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে আমরা সচেতন। প্রতিবেশী দেশগুলিতে যাতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না-পারে, সে জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত।

তবে মোদির সফর স্থগিত হওয়াতে কূটনীতির জগতের অনেকেই মনে করছেন, বিষয়টি শাপে বর হয়েছে। মোদির এই ঢাকা সফর নিয়ে বাংলাদেশে প্রবল অসন্তোষের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে সে দেশের সরকারি, রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিসরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দিল্লির সাম্প্রতিক হিংসা বিষয়টিতে ঘৃতাহুতি হয়ে দাঁড়ায়। ভারতে সংখ্যালঘু তথা মুসলমানদের উপর অত্যাচার করছেন মোদি, অমিত শাহ—এই মর্মে মুখর হতে থাকেন সে দেশের অনেকে। শুধু বিএনপি, জামাত বা অন্যান্য বিরোধী দলই নয়, আওয়ামী লিগের নতুন প্রজন্মের নেতা-কর্মীরাও মোদি বিরোধিতা শুরু করেন। মোদির প্রস্তাবিত সফরে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচিও নেয় শেখ হাসিনা বিরোধী জোট। গত সপ্তাহে মোদি বিরোধিতায় মিছিল করে বিভিন্ন ইসলামিক দল। সূত্র: আনন্দবাজার

পাঠকের মতামত: