কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

৩০ মার্চ খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ

করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের মার্চ থেকে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

মাউশির এক অফিস আদেশে গত মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মাউশির আদেশে বলা হয়, আগামী ৩০ মার্চ সব সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংস্কার বা মেরামতের প্রয়োজন হলে তা ৩০ মার্চের আগে করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি শিক্ষার্থীদের ৬০ কর্মদিবস এবং এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ৮০ কর্মদিবস পাঠদান করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা আয়োজনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডগুলোকে প্রয়োজনীয় ব‌্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, দেশে বিরাজমান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ১২ দফা সুপারিশ পেশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও করণীয় নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ১২ দফা সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—সম্ভব হলে কমপ্লিট লকডাউনে যেতে হবে। সম্ভব না হলে ইকোনমিক ব্যালান্স রেখে যেকোনো জনসমাগম বন্ধ করতে হবে। কাঁচা বাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিংমল, উপাসনালয়ে সমাগম, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল সীমিত করতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত রাখতে হবে। যে কোনো পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে।

কোভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন জোরদার করা। রোগীদের কন্ট্যাক্টে আসা ব্যক্তিদের কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের ১৪ দিনের কঠোর কেয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।

আগামী ঈদের ছুটি কমিয়ে আনা। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আইন জোরদার করা। পোর্ট অব এন্ট্রিতে জনবল বাড়ানো ও মনিটরিং জোরদার করা। পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর কয়েক দফায় ছুটি বাড়ানো হয়। তবে আগামী ৩০ মার্চ স্কুল–কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পাঠকের মতামত: