কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

৪৮ মাসে সৌদিআরবে ‘নির্যাতনে’ মারা গেছেন ১৫৩ নারী শ্রমিক

প্রতিবছরই বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক নারী শ্রমিক বিদেশে যান। এদের মধ্যে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসেন অনেকেই। অনেকেই আবার ফিরে আসেন লাশ হয়ে।

বিমান বন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গিয়ে লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন ৪১০ নারী শ্রমিক। তাদের মধ্যে সৌদি আরবেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৫৩ জন।

সোমবার (২ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ- বিলস।

এদিকে কেবল ২০১৯ সালে সারা দেশে মোট ৫১ জন গৃহশ্রমিক নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে নিহত হয়েছেন ১৭ জন।

শ্রমিক বিষয়ক গবেষণা সংস্থাটি গৃহকর্মীদের মৃত্যুর বিষয়ে উল্লেখ করেছে যে, বিদেশে কাজ করতে যাওয়া নারী শ্রমিকের অবস্থা করুণ। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক নারী শ্রমিক বিদেশে যান, যাদের বেশির ভাগই গৃহশ্রমিক। ২০১৬ থেকে ২০১৯; এই চার বছরে বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গিয়ে লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন ৪১০ নারী শ্রমিক। এর মধ্যে সৌদি আরবেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৫৩ জন। তাদের ৩৯ জন আত্মহত্যা করেন এবং ৬৯ জন মারা গেছেন দুর্ঘটনায়, তবে দুর্ঘটনার কোন কারণ কেউ জানে না বা কোথাও উল্লেখ নেই।

শ্রমিক প্রেরণকারী এবং গ্রহণকারী কোন দেশই আইএলও কনভেনশন-১৮৯ অনুসর্মথন না করায় এ সমস্ত শ্রমিকেরা কোথাও বিচার বা ক্ষতিপূরণও পান না। এমনকি তা দাবিও করতে পারেন না।

গৃহশ্রমিকদের জন্য শোভন কাজ সংক্রান্ত আইএলও কনভেনশন-১৮৯ বিগত ২০১১ সালের আইএলও কনফারেন্সে গৃহীত হয়। এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে গৃহশ্রমিক প্রেরণ ও গ্রহণকারী মোট ৩০টি রাষ্ট্র এই কনভেনশনটি অনুসমর্থন করেছে। বাংলাদেশ এই কনভেনশনে সাক্ষর করলেও এখনও অনুসমর্থন করেনি।

পাঠকের মতামত: