কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

৪ মাসে বজ্রপাত কাড়ল ১৭৭ প্রাণ

চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত চার মাসে বজ্রপাতে মারা গেছে ১৭৭ জন। আর আহত হয়েছে ৪৭ জন। শুক্রবার (১১ জুন) সেভ দ্যা সোসাইটি এন্ড থান্ডারস্টর্ম এওয়ারনেস ফোরাম (এসএসটিএএফ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ সময়ে শুধু কৃষি কাজ করতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ১২২ জনের। বজ্রপাত ও কাল বৈশাখী ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছে ১৫ জন। ঘরে অবস্থানকালীন বজ্রপাতে ১০ জন, নৌকায় মাছ ধরার সময় ছয় জন মারা গেছেন। মাঠে গরু আনতে মারা গেছে পাঁচ জন। মাঠে খেলা করার সময় তিন জন ও বাড়ির আঙিনায় খেলা করার সময় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, ভ্যান/রিকশা চালানোর সময় দু’জন এবং গাড়ির ভেতরে অবস্থানকালীন বজ্রপাতে মারা গেছেন এক জন।

মৃত্যুর পাশাপাশি এ বছর বজ্রপাতে আহত হয়েছে ৪৭ জন। এর মধ্যে ৪০ জন পুরুষ ও সাত জন নারী রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর ড. কবিরুল বাশার, বজ্রপাত বিশেষজ্ঞ ড. মুনির আহমেদ, এসএসটিএএফ- এর সাধারণ সম্পাদক রাশিম, গবেষণা সেলের নির্বাহী প্রধান আব্দুল আলীম প্রমুখ।

বজ্রপাতে হতাহতের এ পরিসংখ্যান করা হয়েছে জাতীয় দৈনিক, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিউজ ও টেলিভিশনের স্ক্রল পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে।

এ বছর বজ্রপাতের হট স্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা। এ জেলায় চলতি বছরের মে ও জুন মাসেই মারা গেছে ১৮ জন। এছাড়া চলতি বছরের চার মাসে জামালপুরে ১৪ জন, নেত্রকোনায় ১৩ জন, চাপাইনবাবগঞ্জে ১৬ জন ও চট্টগ্রামে মারা গেছেন ১০ জন।

চলতি জুন মাসের ৬ তারিখ বিকেলে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার লোহাচড়া গ্রামে বৃষ্টির সময় বাড়ির আঙিনায় খেলা করছিল আশরাফি খাতুন (১০) ও মহসিনা খাতুন (১২) নামে দুই শিশু।

পাঠকের মতামত: