কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ছয় জেলায় বজ্রপাতে ১৮ জনের মৃত্যু

দেশের ছয় জেলায় বজ্রপাতে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার নেত্রকোনা, ফরিদপুর, সুনামগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে পৃথক পৃথক স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে নিহতের অধিকাংশই কৃষিকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট থেকে তথ্য তুলে ধরা হলো:

নেত্রকোনা: জেলার চার উপজেলায় হাওরে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে ৯ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কেন্দুয়া উপজেলায় দুজন, মদনে দুজন, খালিয়াজুরীতে চারজন কৃষক ও পূর্বধলায় এক শিশু রয়েছে। এছাড়া বজ্রপাতে খালিয়াজুরীতে পাঁচজন ও মদনে চারজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৩টায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কেন্দুয়ার পাইকুড়া ইউনিয়নের বৈরাটী গ্রামের মো. বায়েজিদ মিয়া (৪২) ও কান্দিউড়া ইউনিয়নের কুণ্ডলী গ্রামের মো. ফজলুর রহমান (৫৫), খালিয়াজুরীর মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের খেলু ফকিরের ছেলে কৃষক অছেক মিয়া (৩২), একই গ্রামের আমির সরকারের ছেলে কৃষক বিপুল মিয়া (২৮), বাতুয়াইল গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে মনির হোসেন (২৮), মদন উপজেলার পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে হাফেজ মো. শরীফ (১৮) ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে মাওলানা আতাবুর রহমান (১৯), পূর্বধলার দলামূলগাঁও ইউনিয়নের টাকলি গ্রামের ইছাক মিয়ার ছেলে জুনাইদ (৮) ও বাজিতপুর উপজেলার সুতারপাড়া দীঘিরপাড় গ্রামের শিশু মিয়ার ছেলে নৌ শ্রমিক বাছন মিয়া (২২)।

ফরিদপুর: এ জেলায় বজ্রপাতে নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ফরিদপুর পৌরসভার পশ্চিম গঙ্গাবর্দী, ৫ নং ওয়ার্ডের মোল্লা ডাঙ্গী মহল্লা, সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ও মধুখালী উপজেলার চাদপুরে এসব পৃথক দুর্ঘটনা ঘটে।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্বামী ও ছেলের সাথে মাঠ থেকে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ফরিদপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাডাঙ্গী মহল্লায় বজ্রপাতে নিহত হন আনোয়ারা বেগম (৪৫)। তিনি আনোয়ারা বেগম মোল্লা ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক কাবুল শেখের স্ত্রী।

বিকেল ৪টার দিকে বজ্রপাতে মারা যান কৃষক কবির মোল্লা (৪৮)। তিনি ফরিদপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গঙ্গাবর্দী মহল্লার গোপাল মোল্লার ছেলে। ধান নিয়ে মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া বিকেলেই সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে বজ্রপাতে মারা যান দুলাল খান (৫৮) নামের এক কৃষক। অন্যদিকে, মধুখালী উপজেলার চাদপুরে কবির শেখ (৪০) নামে এক কৃষক বজ্রপাতে মারা যান। তিনি পাট ক্ষেত পরিচর্যার সময় বজ্রপাতে নিহত হন।

মানিকগঞ্জ: সদর উপজেলার গিলন্ডে ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছেন। এছাড়া ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া গ্রামের বাসিন্দা আজমত আলীর (৫০) মৃত্যু হয়। এদিন বজ্রপাতে এই জেলায় অনিক নামে একজন গুরুতর আহত হন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সুনামগঞ্জ: জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলায় আবু তাহের (৩৫) নামে এক যুবক বজ্রপাতে মারা যান। আবু তাহের দোয়ারা বাজার সদর ইউনিয়নের তেগাঙ্গা গ্রামের তাজ উদ্দিনের ছেলে। মঙ্গলবার বিকেলে দোয়ারা বাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দোয়ারাবাজার থানার ওসি নাজির আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কুমিল্লা: জেলার হোমনা উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়নের সিতারামপুর গ্রামে মঙ্গলবার বিকালে মো. মোমেন (৩৫) নামের এক যুবকের বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। তিনি সিতারামপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। এলাকাবাসী জানান, বাড়ির পাশের জমি থেকে তার পালিত ছাগল আনতে গেলে হঠাৎ বজ্রপাতের কবলে পড়লে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।পরে স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করেন এবং থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।

ময়মনসিংহ: জেলার তারাকান্দা উপজেলায় বজ্রপাতে আতিকুল ইসলাম নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও একজন। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের খলিশাজান গ্রামে খোলা মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আজিজুল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের খলিশাজান গ্রামের আজমত আলীর ছেলে।

পাঠকের মতামত: