কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ার গয়ালমারা দাখিল মাদরাসার ৪ তলা ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে

শেখ হাসিনা শিক্ষা ও উন্নয়নবান্ধব প্রধানমন্ত্রী: এমপি শাহীন আক্তার চৌধুরী

শামসুল হক শারেক::

উখিয়ার গয়ালমারা দাখিল মাদরাসার ৪ তলা বিশিষ্ট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এমপি শাহীন আক্তার চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শিক্ষা ও উন্নয়ন বান্ধব প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় আজ মাদ্রাসা শিক্ষার প্রভূত সাফল্য এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় গয়ালমারা দাখিল মাদরাসার ৪ তলা ভবনের কাজ শুরু হল। তিনি বলেন উখিয়াা- টেকনাফের সব মাদ্রাসা স্কুল কলেজ গুলোতে পর্যায়ক্রমে আরো অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে।

এমপি শাহীন উখিয়াকে একটি ডিজিটাল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলেও জানান। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক এমপি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি, উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, রত্নাপালং ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী, সাংবাদিক শামসুল হক শারেক, মেম্বার মীর আহমদ চৌধুরী, আলহাজ্ব আব্দুল করিম চৌধুরী, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নেতা সৈয়দ হোসাইন চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মকবুল হোসেন মিথুন, সমাজ সেবক আলহাজ্ব আসায়াদ আলী, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল কবির চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল হাকিম ও
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আহমদ কবির সওদাগর।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আবুল মনসুর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মাদরাসার শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকার শুভাকাঙ্ক্ষী বৃন্দ।

সাবেক এমপি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধ, শিক্ষা বান্ধব ও উন্নয়ন বান্ধব সরকার। তিনি বলেন, তার সময়ে উখিয়া-টেকনাফের স্কুল কলেজ মাদরাসা এবং রাস্তাঘাটের যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে আগামী ৩০ বছরেও অনেক জায়গায় হাত দিতে হবে না। গয়ালমারা মাদরাসার উন্নয়নে তিনি ভূমিকা রাখতে পেরে খুশী এবং গর্বিত।

তিনি চ্যালেন্জ করে বলেন, ইয়াবা ব্যাবসায়ী কাউকে তিনি প্রশ্রয় দেননি। বরং ইয়াবা বয়বসায়ীদেরকে তিনি কারাগারে দিয়েছেন। ইয়াবার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। যারা বলে তিনি ইয়াবা ‘সম্রাট’ এরকম কোন ডকুমেন্ট কারো হাতে থাকলে তা পেশ করার জন্য আহবান জানান।

তিনি বলেন, ১০ টি বছর তিনি উখিয়া টেকনাফের মানুষের গোলামী করেছেন। কাউকে তিনি পার্থক্য করেননি। এখন তার সহধর্মিণী শাহীন আক্তার চৌধুরী এমপি তাকেও সেভাবে মানুষের উন্নয়নের জন্য আত্ম নিয়োগ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এব্যাপারে (সাবেক এমপি) বদি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় আজ সারা দেশে মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন হয়েছে। এই সেশনে এক হাজার ৮০০ মাদরাসা ভবন নির্মিত হচ্ছে। সরকার
স্কুল কলেজ ও মাদরাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে করছে।

সাংবাদিক শামসুল হক শারেক অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, গয়ালমারা একটি অন্ধকার এলাকায় ২০ বছর আগে এলাকার মানুষের পরিশ্রমই দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শিক্ষকেরা খেয়ে না খেয়ে বিশ বছর ধরে সেখানে পাঠদান করেন মাদ্রাসাকে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

এই মাদ্রাসায় নিয়মিত পাঠ দানের পাশাপাশি সরকারের সব ধরনের কর্মসূচি, জাতীয় দিবস এবং ইসলামী দিবসগুলো উদযাপন করে নজির স্থাপন করেছে।
গত ২০ বছরে শত শত শিক্ষার্থীরা এখান থেকে শিক্ষা সমাপ্ত করে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ন করছে এবং অনেকেই ইতোমধ্যে পড়ালেখা শেষ করে সমাজ উন্নয়নে সমাজের বিভিন্ন স্তরে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি সরকারে আন্তরিকতার ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন সরকারের আন্তরিকতা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা আজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে মাদ্রাসা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জীবন মানের উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী, এমপি আবদুর রহমান বদিসহ যারা যেভাবে এই মাদ্রাসা উন্নয়ন সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদরাসার সুপার মাওলানা দিল মুহাম্মদ।

অনুষ্ঠান শেষে সরকারের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত মাদরাসার চারতলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন এমপি শাহীন আকতার চৌধুরী এ সময় উপস্থিত অতিথিরা তার সাথে ছিলেন।

সবশেষে দেশ জাতি ও বঙ্গবন্ধু পরিবার সহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্থতার জন্য দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন গয়ালমারা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কবির আহমদ।

পাঠকের মতামত: