কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

২২ অক্টোবর থেকে ‘দুর্গাপূজা’

আসছে ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়া ও ২২শে অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। প্রাণঘাতী করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার পূজামণ্ডপে সবসময় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব বিষ্ণু কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আসছে ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়া ও ২২ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা উদযাপনের সময় পূজামণ্ডপে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ধর্মীয় রীতিনীতি মানার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

তবে, পূজা উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা, মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মাইকের ব্যবহার বর্জন করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি আলোকসজ্জা ও অন্যান্য সাজসজ্জা সীমিত আকারে করার অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

যে কারণে দুর্গাপূজা হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবার কাছে দুর্গা পূজা প্রধান ধর্মীয় উৎসব নয়। মূলত বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিম বাংলার বাংলা ভাষাভাষী হিন্দুদের মধ্যেই এটি সবচেয়ে বেশি আনুষ্ঠানিকতা এবং আড়ম্বরের সাথে পালিত হয়।

এছাড়া হিন্দুপ্রধান দেশ নেপালেও এটিই সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। কিন্তু দুর্গা পূজা কীভাবে হয়ে উঠলো বাংলা ভাষাভাষী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংস্কৃত ভাষায় রচিত রামায়ণে দুর্গা পূজার কোনও উল্লেখ ছিল না। কিন্তু রামায়ণ যখন বাংলা ভাষায় অনুদিত হলো মূলত তখন থেকেই দেবী হিসেবে দুর্গার মহাত্ম বাংলা ভাষী হিন্দুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

ছয়শো বছর আগে কৃত্তিবাস ওঝা যখন রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করেন, তখন লোকায়ত গল্পে যেখানে দুর্গার কাহিনী প্রচলিত ছিল, সেটি অন্তর্ভুক্ত করেন তিনি।

এরপর যেহেতু বাঙ্গালী বাংলা ভাষায় রামায়ণ পেল, এবং সেখানে দেখল দুর্গার সাহায্যে রামচন্দ্র রাবণকে বধ করতে পারে, তাহলে সে আমারো প্রাত্যহিক প্রয়োজনে কাজে আসবে। গণমাধ্যমকে বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ।

এই ভাবেই দুর্গা প্রধানতম দেবী হিসেবে আবির্ভূত হন বাঙ্গালী হিন্দুদের কাছে। কিন্তু এরপরও প্রধান ধর্মীয় উৎসব হয়ে উঠতে দুর্গা পূজার সময় লেগেছে আরো কয়েক শো বছর।

পাঠকের মতামত: