কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

দরূদ শরীফ পাঠের গুরুত্ব ও ফজিলত

মাহে রবিউল আউয়াল বিশ্ব মুসলিমের আবেগ অনুভূতি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত ঐতিহাসিক স্মরণীয় একটি মাস।  এ মাসের মূল তাৎপর্য হচ্ছে রাসুল (সা.) এর পবিত্র আদর্শে প্রত্যেক মসলিম নিজেকে রঙিন করে নিবেন।

ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে রাসুল (সা.) ছিলেন বিশ্ব মানবতার জন্য আদর্শ শিক্ষক।  সুতরাং বিশ্বনবীর আদর্শ জীবন অনুসরণ ও অনুকরণের পাশাপাশি তার প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করা প্রত্যেক ঈমানদারের আবশ্যক কর্তব্য।

যা তুলে ধরা হলো- দরূদ শরীফ পাঠের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত অত্যধিক।  কেননা আল্লাহ তায়ালা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি সালাত ও সালাম (দরূদ) প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।

আল্লাহ তায়ালা বলেন- অত্র আয়াতে আল্লাহ সালাত পাঠানোর মর্মার্থ হলো- রহমত।  অর্থা‍ৎ আল্লাহ তায়ালা বিশ্বনবীর প্রতি অবিরত রহমত বর্ষণ করেন।  ফেরেশতাদের সালাত পাঠানোর মর্মার্থ হলো- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর রহমত বর্ষণের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করেন।  এ দোয়াই হচ্ছে দরূদ।  সুতরাং বিশ্বের ঈমানদাররা, তোমরাও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ শরীফ পড়।

দরূদ পাঠ নিয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কিয়ামাতের দিন সেই ব্যক্তিই আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে যে আমার প্রতি বেশি বেশি দরূদ শরীফ পাঠ করে।  (তিরমিজি)রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মাতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যে ব্যক্তির উপস্থিতিতে আমার নাম উচ্চারিত হবে, কিন্তু আমার প্রতি দরূদ পাঠ করবে না, সে বড় কৃপণ।

তিরমিজি শরীফে দরূদ পাঠের ফজিলত দরূদ পাঠকারীদের সুসংবাদ প্রদানে হাদিসে এসেছে, হযরত আবু তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- একদিন হজরত মুহাম্মদ (সা.) এলেন।  তখন তার চেহারায় আনন্দের আভা দেখা যাচ্ছিল।  এসেই বললেন, হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম আমার কাছে এসেছিলেন এবং বলে গেলেন- হে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আপনি কি এতে সন্তুষ্ট হবেন না যে, আপনার উম্মতের কেউ আপনার ওপর একবার দরুদ পাঠ করলে আমি তার ওপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করবো।  কেউ একবার সালাম পেশ করলে তার প্রতি সালাম পেশ করবো ১০ বার।  আল্লাহ আমাদেরকে বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠের তাওফিক দিন।

নাসাঈ শরীফের অপর বর্ণনায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করে।  আল্লাহ তার প্রতি দশবার রহমত নাযিল করেন, এবং তার দশটি গোনাহ (ছগিরা) মাফ করা হয়, ও তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়।  (নাসাঈ) সুতরাং আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ পালন এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনাদর্শ বাস্তবায়ন করি। পাশাপাশি তাঁর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ দরূদ শরীফ পাঠ করে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাফায়াত লাভে স্বচেষ্ট হই।  আল্লাহ তায়ালা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে বেশি বেশি করে দরূদ শরীফ পাঠ করার তৌফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।

পাঠকের মতামত: