কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

উখিয়ায় পারিবারিক কলহের জের গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বজনদের দাবী হত্যা!

এন এ সাগর::

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নে পারিবারিক কলহের জের ধরে এক গৃহবধূ আত্নহত্যা করেছে। নিহতের স্বজনদের দাবী এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ঘটনার খবর পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে।

শুক্রবার (৪ জুন) রাত ১০ টার দিকে পালংখালী বাজার এলাকায় ইউপি মেম্বার নুরুল হকের ছোট ভাই জিয়াবুল হক এর বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উপজেলার পালংখালী বাজার এলাকার মৃত: নাজির আহমদের ছেলে জিয়াবুল হক এর স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার (১৭) বাড়িতে কেউ না থাকা অবস্থায় ফ্যানে উড়না পেছিয়ে গলায় ফাস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছে।

এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে দ্রুত গয়ালমারা মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত চার বছর পূর্বে পালংখালী মোছারখোলা এলাকার নুরুল আলমের অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু কন্যা ইয়াছমিন আক্তারের সাথে পালংখালী বাজার এলাকার মৃত: নাজির আহমদের ছেলে জিয়াবুল হকের বিয়ে হয়। তখন মেয়ের বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর।

তখন থেকে তাদের সংসারে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো প্রতিনিয়ত। এপর্যন্ত তাদের সংসারে সন্তান না হওয়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহ আরও বেড়ে গেছে।

একপর্যায়ে স্বামী জিয়াবুল হক আরেকটি বিয়ে করার জন্য তার স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তারের উপর চাপ দেয় এবং রোহিঙ্গা নারী বিয়ে করবে বলে জানালে তার বতর্মান স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার আত্নহত্যা করে।

নিহতের পিতা নুরুল আলম রাতে গয়ালমারা হাসপাতালে এসে আহাজারি করে এবং কয়েক শত মানুষের সামনে তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেন।

ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে পালংখালী ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য নুরুল হক তড়িঘড়ি করে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের জন্য কোর্ট থেকে অনুমতি নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

এদিকে রাত ৩ টার দিকে পুলিশ গয়ালমারা হাসপাতাল থেকে লাশ উখিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো: সালমান লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পাঠকের মতামত: