করোনাকালে প্রকৃতির কদর বেড়েছে অনেকাংশেই। তবে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে যুগ যুগ ধরে। প্রতিবছর ৫ জুন পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। দিন দিন মানুষ তার নিত্য প্রয়োজনে পরিবেশের নানান ধরনের ক্ষতি করে আসছে। আর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগামীতে প্রকৃতির অশুভ আচরণের স্বীকার হবেই। আর প্রকৃতিকে সবল রাখার অন্যতম উপাদান হলো গাছ। গাছের প্রয়োজনীয়তা অনেক।পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে পরিবেশের প্রতি মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রত্যাশার পক্ষ থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পূর্ণ হয়েছে।
এই সময়ে প্রত্যাশার গ্রীন প্লানেট ইভেন্ট লিডার আমান উল্লাহ রিয়াদ বলেন প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এই বৎসর প্রত্যাশার পক্ষ থেকে বৃক্ষরোপনের বড় কর্মসূচি হাতে নেওয়া ছিল। কিন্তু রেডজোন চলাকালীন সময়ে ভিন্ন জায়গায় বৃক্ষরোপণ অসম্ভব ছিল সেজন্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে তারা ফলজ ও বনজ ও বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে এই বছরের কর্মসূচি শুরু করেছে।
প্রত্যাশার ফাউন্ডার মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলে জানান সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবছর তারা বৃক্ষ রোপন করে আসতেছে। গতবছর মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ৫০০০ বৃক্ষরোপণ করেন। এইসময় তিনি আরো জানান রোহিঙ্গা আসার পর থেকে অবিচারে বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক বনায়ন উজাড় করে ফেলেছে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে মানুষ নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের মাধ্যমে
ঘড় বাড়ি গড়ে তুলেছেন। যার ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর তাপমাত্রার পরিমাণ অনেক বেশি ছিল।
এই বছর তারা সামাজিক বনায়ন বৃদ্ধির পাশাপাশি প্লাস্টিক রিসাইকেলিং ও মানুষের মাঝে প্লাস্টিক ব্যবহারের অপব্যবহারের সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য একটি নতুন প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন। তিনি আরো বলেন এমন সময় যদি প্লাস্টিক নিয়ে মানুষ সচেতন না হয় তাহলে আগামী প্রজন্ম হুমকির মুখে পড়বে তিনি প্লাস্টিক ব্যবহারের প্রতি সবাইকে আরো সচেতন হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। এসময় প্রত্যাশার সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম মোহাম্মদ শ্রীময়ী সহ সভাপতি মিজানুর রহমান আরিয়ান সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক।সম্পাদক রুবেল ও সিনিয়র সদস্য আনোয়ার শাহ।
পাঠকের মতামত: