কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বিধি-নিষেধের মধ্যেই ১০৮ মৃত্যু

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরো ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১৩ হাজার ৯৭৬ জনে।

একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে আরো ৫ হাজার ৮৬৯ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৪ জনে।

শুক্রবার (২৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দেশে করোনায় ৮১ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া আরও ৬ হাজার ৫৮ জনের করোনা শনাক্তের কথাও জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৬৫৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৫ হাজার ৮৬৯ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৪ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ২১.২২ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩.৬০ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৭৫ জন ও নারী ৩৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৫ জন ও ষাটোর্ধ্ব ৫৮ জন রয়েছেন।

এদিকে গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২ হাজার ৭৭৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫৫৯ জন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ মৃত্যুর প্রথম খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণেও চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতেও নিয়ন্ত্রণে ছিলো। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে।

এর মধ্যে গত ১৬ এপ্রিল দেশে দৈনিক মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান, যা একদিনে সর্বোচ্চ।

বাংলাদেশে এটাকে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।

এখন আবার সারাদেশে ১৪ দিনের শাটডাউনের সুপারিশ এসেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি থেকে। আর এই সুপারিশকে যৌক্তিক বলে মনে করছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, সরকারের শাটডাউনের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।

 

আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ

গত ২৪ ঘণ্টায় আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৫৩ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ১৩ জনের। এছাড়া হাসপাতালটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন তিনজন।

প্রসঙ্গত, কোভিড ও নন কোভিড রোগীদের সম্পূর্ণ পৃথক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এমনকি দুটি বিভাগের চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মরত প্রত্যেকের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা চিকিৎসা ছাড়া অন্য সকল চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আগের মতই চলমান রয়েছে।

পাঠকের মতামত: