কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আবারও চীনের অর্থনীতির চাকা ধীরগতিতে

 

বিশ্বে করোনা ভাইরাসের উত্থান চীনের উহান প্রদেশের মাধ্যমে হলেও খুব অল্প সময়েই ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আনে দেশটি। উল্টো অন্যান্য দেশের ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে বর্তমানে তা মহামারিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
আবারও চীনের অর্থনীতির চাকা ধীরগতিতে

ভাইরাসটি সনাক্তের পর ২০২০ সালের শুরুতে চীন সব ধরণের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এ সময় কারখানাগুলোতে উৎপাদনও ছিল বন্ধ। যে কোনো উপায়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখাই ছিল মূল লক্ষ্য। সে সময় বাণিজ্য খাতে বেশ ঝুঁকিতে পড়ে চীন। যদিও কয়েক মাসের মধ্যেই তা আবারো পুনরুদ্ধার করে ফেলে দেশটি। কোভিড সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মেডিকেল ইক্যুইপমেন্ট রপ্তানি করেই দেশটি আয় করে হাজার হাজার ডলার। যা এখনো অব্যাহত।

 

সবশেষ বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চীনের অর্থনীতি রেকর্ড ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। ১৯৯২ সালে চীন জিডিপি’র হিসেব রাখা শুরু করার পর এটাই সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধির রেকর্ড। যদিও করোনাভাইরাস মহামারি শুরুতে চীন জুড়ে লকডাউন আরোপের পর গত বছরের প্রথম তিন মাসে চীনের প্রবৃদ্ধি নেমে যায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশে।

চীনের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যানুযায়ী, অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলো অস্বাভাবিক শক্তিশালী অবস্থানে থাকার কথা বলা হলেও সেগুলো গত বছরের চরম দুর্বল সংখ্যার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। আর চীনের শিল্প উৎপাদন এক বছর আগের তুলনায় মার্চে বেড়েছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। আর খুচরা বিক্রি বেড়েছে ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ।

কিন্তু বর্তমান সময় পরিস্থিতি উল্টো। নতুন করে দেশটিতে ডেল্টা ভেরিয়েন্টর সংক্রমণ ও বন্যার কারণে চীনের কারখানার উৎপাদন এবং খুচরা বিক্রির প্রবৃদ্ধি দ্রুত কমে যাচ্ছে এবং জুলাই মাসে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদন কম হয়েছে। যা দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতিশীলতাকে পেছনে টানছে।

দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরো, এনবিএস এর মাধ্যম দিয়ে সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স ১৬ই আগষ্ট সোমবার জানায়, জুলাই মাসে চীনের অর্থনীতিতে শিল্প উৎপাদনের হার ৬ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা জুন মাসের চেয়ে কম। জুনে চীনের উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। যদিও জুলাই মাসে প্রত্যাশা ছিল ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধির। এদিকে এক বছর আগের তুলনায় জুলাই মাসে খুচরা বিক্রি বেড়েছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। যদিও চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে খুচরা বিক্রি বেড়েছিল ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ।

 

 

সূত্র ঃ সময় টিভি

পাঠকের মতামত: