কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

নুরকে না পেয়ে অনুসারীদের মারধর

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে না পেয়ে তার অনুসারী, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ১৫ নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বিরুদ্ধে। বুধবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার সমেতপুর-বৈন্যাঘাট এলাকায় এই মারধরের ঘটনা ঘটে।

সংগঠনটির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মামুন শেখ বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুর রউফ পাঁচমাস আগে ঢাকার পল্টনে মোদি বিরোধী আন্দোলনরত অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়। আজ সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সে জামিনে মুক্ত হয়। একারণে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম মুকুল এবং আমাদের মানিকগঞ্জের বিভিন্ন কমিটিরর মোট ১৫ জন তাকে কারাগার গেট থেকে অভ্যর্থনা জানাই। পরে সেখান থেকে নিয়ে তাকে পৌঁছে দিতে আমরা সবাই একটি মাইক্রোবাস এবং একটি প্রাইভেটকারযোগে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চারকাটারী এলাকায় তার বাড়িতে যাই। দুপুরে পৌঁছানোর পর আমরা সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে তাকে রেখে ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে দৌলতপুর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সমেতপুর এলাকায় আসামাত্র ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের গাড়ির গতিরোধ করে। গাড়ি থামিয়ে তারা আমাদের কাছে গাড়িতে ভিপি নুর আছে কিনা জানতে চায়। ভিপি নুরকে গাড়িতে না পেয়ে তারা আমাদের সকলকে মারধর করে।

তিনি আরও বলেন, ‘যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে তারা সকলেই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা। তবে আমরা সকলের নাম জানিনা। আমরা এই হামলার নিন্দা জানাই। একটি স্বাধীন দেশে চলাফেরা করতে পারবো কেন?’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা নিজামুল ইসলাম তুষার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান রাজু, ছাত্রলীগ নেতা মাঝহারুল ইসলাম শুভ, রিয়াজুল ইসলাম জয়, নুরুন নবী নুরুল ইসলামসহ তাদের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা করে।

এ ব্যপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাদ কোরাইশী সুমন বলেন, ‘আমি এই রকম কোন হামলার ঘটনা শুনিনি। একারণে এবিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে পারবো না।’

ছাত্র-যুব শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমি এই হামলার ঘটনা শুনেছি। ছাত্ররীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের নেতা-কর্মীদের মারধর করেছে, গাড়ি ভাংচুর করেছে। তারা এতোটাই নীচে নেমে গেছে যে, তারা মোবাইল, মানিব্যাগও ছিনতাই করেছে। প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়েও কোন সহযোগিতা পায়নি। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

এ ব্যপারে দৌলতপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘ভিপি নুর এবং তার অনুসারীরা আসার কথা শুনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতারা সমেতপুরের পাশে বৈন্যাঘাট এলাকায় তাদের গাড়ি আটকায়। গাড়িতে ভিপি নুর না থাকায় তারা একটি গাড়ীর গ্লাস ভাঙ্গে এবং তাদের ধাওয়া দেয়। এর বেশি কিছু হয়নি। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ নেতাদের পেয়েছি। তবে, কে কে হামলা করেছে, তা এখনও জানতে পারিনি। কেউ এখনও কোন অভিযোগ করেনি।’

পাঠকের মতামত: