কক্সবাজার, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

টিকার দ্বিতীয় ডোজ না নিয়েও মিলছে টিকা সনদ

 

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকা না নিয়েও টিকা সনদ সংগ্রহ করতে পারছেন ৩০৮ জন। মোবাইলে খুদে বার্তা পাওয়ার পর এদের অনেকেই ডাউনলোড করে নিয়েছেন সনদপত্র। এতে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, টিকা গ্রহণকারী কিছু মানুষের টিকা কার্ডের কিউআর কোড স্ক্যান না করায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ডোজ না নিয়েও খুদে বার্তা পাওয়া লোকদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও গ্রামের তোফায়েল আহমদ গত ৭ আগস্ট গণটিকা দান কর্মসূচিতে প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। তবে গত ৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখে দ্বিতীয় ডোজ নেননি। এরপরও দুই ডোজ সম্পন্ন হয়েছে এবং টিকার সনদ ডাউনলোড করার জন্য তার মুঠোফোনে খুদে বার্তা আসে। স্থানীয় একটি ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের দোকানে গিয়ে সনদপত্র ডাউনলোডও করেছেন তিনি।

তোফায়েল আহমদ বলেন, দ্বিতীয় ডোজ না নিয়েও আমি টিকা গ্রহণের সনদপত্র পেয়েছি। এখন দ্বিতীয় ডোজ পাবো কি না তা জানতে পারিনি। এ ব্যাপারে সহযোগিতা চাওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাব।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস সামাদ জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বরের গণটিকা কর্মসূচিতে প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন নবীগঞ্জের ৭ হাজার ৯৯০ জন। এর মধ্যে ৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ডোজ নেন ৬ হাজার ৯৩২ জন। কিন্তু ওইদিন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণকারী কিছু মানুষের ভ্যাকসিন কার্ডের কিউআর কোড স্ক্যান করা সম্ভব হয়নি। তাই কারা টিকা নিয়েছেন, আর কারা নেননি সেটি সনাক্ত করা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় ৭ হাজার ২৪০ জনকে খুদেবার্তা পাঠানো হয়। ফলে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে দ্বিতীয় ডোজ না নেয়া ৩০৮ জনও খুদেবার্তা পেয়েছেন। তাদেরকে সনাক্ত করে শীঘ্রই দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে ৭০ জনকে সনাক্ত করে ২য় ডোজ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। কয়েকদিনের মধ্যেই বাকিদেরও ২য় ডোজ নিশ্চিত করা হবে।

এ ব্যাপারে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলিছুর রহমান উজ্জ্বল জানান, এ ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয়া হচ্ছে। সেই সাথে যাদেরকে ২য় ডোজ দেয়া হয়নি, তাদেরকে দ্রুত সনাক্ত করে ২য় ডোজ প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: