কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে ৭০০ একর বনভূমির লিজ বাতিলের দাবিতে বাপা’র ডাকে ২০ পরিবেশবাদী সংঘটন

সরওয়ার সাকিবঃ

কক্সবাজারে ফুসফুস খ্যাত মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন শুকনাছড়ির ৭০০ একর বনভূমিতে প্রশাসন একাডেমির নামে অবৈধ ইজারা বাতিলের দাবিতে রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন—বাপা কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশ সফল করতে অংশগ্রহণ করেন ২০ টি পরিবেশ, সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনগুলো হলো— ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস), বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)কক্সবাজার জেলা শাখা , বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলন, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, কক্সবাজার, টিম ইলেভেন, কক্সবাজার, তারুণ্যের প্রতিবাদ, দরিয়া নগর গ্রীণ ভয়েস, কক্সিয়ান এক্সেপ্রেস, পশ্চিম নতুন বাহারছড়া যুব কল্যাণ সংঘ, রাজধানী ফ্রেন্ডস সার্কেল, সেভ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশ , কক্সবাজার জেলা শাখা, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল, কক্সবাজার জেলা, একতা ছাত্র পরিষদ, রাখাইন একতা সংঘ, বড় বাজার রাখাইন যুব সংঘ, টেকপাড়া রাখাইন ছাত্র পরিষদ ও রাখাইন ক্রীড়া সংস্থা। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর কক্সবাজার জেলা সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান ৭০০ একর বনভূমি লিজ বাতিলের দাবিতে যদি নিজের রক্ত দিতে হয় তাহলে তিনি প্রথমেই দিতে রাজি। তিনি কক্সবাজারবাসী সহ সকল অঙ্গ সংগঠন কে ৭০০ একর বনভূমি লিজ বাতিলের দাবিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সংগঠনের সমন্বয়ক সাংবাদিক এইচ,এম নজরুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভের পাশে শুকনাছড়ির রক্ষিত বনভূমির ৭০০ একর জমিতে বঙ্গবন্ধু সিভিল সার্ভিস একাডেমি (বিএপিএ) ও বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের (বিএএসএ) নিজস্ব ভবন নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিপন্ন এশীয় বন্য হাতিসহ দেশের অনেক বিপন্নপ্রায় বন্য প্রাণীর নিরাপদ বসতি এই রক্ষিত বনভূমি। এই বনভূমিতে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, তা স্পষ্টতঃ আইন বিরোধী এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের জন্য চরম হুমকি। তাই শুকনাছড়িতে এডমিন একাডেমীর জন্য ৭০০ একর বনভূমি লিজ বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন—বাপা কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। বাপা কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মুহম্মদ নুরুল ইসলাম, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির প্রধান নির্বাহী ও বেলার সদস্য ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ মামুন, বাপা কক্সবাজারের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, ১২ সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ক এইচএম নজরুল, জনসুরক্ষা মঞ্চ কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক ইমাম খাইর, কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ইসমাইল সাজ্জাদ, বাপা নেতা শহীদুল্লাহ্ মেম্বার, মো. নেজাম উদ্দিন, কল্লোল দে চৌধুরী, দোলন ধর, শেখ সেলিম, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি শামসুল আলম কেলো, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্নসাধারণ সম্পাদক ইসলাম মাহামুদ, কক্সবাজার জেলা সভাপতি এড.আবুহেনা মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক শামশুল আলম শ্রাবণ, রাজধানী ফ্রেন্ডস সার্কেলের সভাপতি এম. এ আজিজ রাসেল, সাধারণ সম্পাদক উসেন থোয়েন, কক্সিয়ান ভয়েসের সভাপতি ইরফান উল হাসান, দরিয়া নগর গ্রীণ ভয়েসের সভাপতি পারভেজ মোশারফ, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সায়েম, টিম ইলেভেন কক্সবাজারের সভাপতি ইরফান, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার, সেভ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা সভাপতি ওমর ফয়েজ হৃদয়, সাধারণ সম্পাদক ইফাজ উদ্দিন আহমেদ ইমু, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস কক্সবাজারের সমন্বয়কারী জিমরান মোঃ সায়েক, টেকপাড়া রাখাইন ছাত্র পরিষদের সভাপতি-উথান্ট অং, সাধারণ সম্পাদক জনি রাখাইন, রাখাইন ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মং সেন য়াইন, সাধারণ সম্পাদক জ জ ইয়ুদি, একতা ছাত্র পরিষদের সভাপতি ওয়াসিম মাহমুদ অভি,সাধারণ সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত, বড় বাজার রাখাইন যুব সংঘ সভাপতি উসেন হেন, সাধারণ সম্পাদক জ জ, রাখাইন একতা সংঘের সভাপতি উসেনমি সাধারণ সম্পাদক ক্য লা প্রমূখ।

পাঠকের মতামত: