তুলসী অ্যাসেনশিয়াল অয়েল ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভরসা রাখতেই পারেন তুলসি পাতায়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভরসা রাখতেই পারেন তুলসি পাতায়

সকালবেলা খালি পেটে ২-৩টি তুলসী পাতা খাওয়া পেটের জন্যেও ভালো। তুলসী একটি ঔষধিগাছ। তুলসি অর্থ যার তুলনা নেই। তুলসী গাছ লামিয়াসি পরিবারের অন্তর্গত একটি সুগন্ধী উদ্ভিদ। তুলসি গাছের নানা ঔষধি ব্যবহার রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি নানা সমস্যায় এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঠান্ডা ও সর্দিজনিত যে কোনো সমস্যায় এ গাছের পাতার রস ও মধু একত্রে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এ গাছের রস কৃমি ও বায়ুনাশক। ওষুধ হিসেবে এই গাছের ব্যবহার্য অংশ হলো এর রস, পাতা এবং বীজ। আয়ুর্বেদ ও ভেষজ চিকিৎসায় এর ব্যাপক ব্যবহার বয়েছে।

প্রাচীনকাল থেকেই এ গাছের পাতা নানা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়ে আসছে। বর্তমানে একটি সমীক্ষা বলছে তুলসী পাতা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া এই সমীক্ষা টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ওপর করা হয়। এদের মধ্যে ৫০ শতাংশকে ডায়াবেটিসের ওষুধ খেতে বলা হয়, বাকিদের তার বদলে রোজ দেওয়া হয় ২৫০ মিলিগ্রাম তুলসীর নির্যাসযুক্ত ক্যাপসুল। সমীক্ষা শেষে দেখা যায়, ইনসুলিন ও ওষুধের ওপর নির্ভর না করে কেবল তুলসী খেয়েই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছেন তারা। কাজেই ইনসুলিনের ক্ষরণে তুলসীর যে ভূমিকা আছেই তাতে আর সংশয় থাকে না।
কীভাবে খেতে পারেন তুলসী পাতা?
১) তুলসী পাতা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। এর ফলে তুলসীতে থাকা যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ গুণ সহজেই আপনার শরীরে প্রবেশ করবে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও তুলসীর কোনও জুড়ি নেই।
২) চা খেতে ভালোবাসেন? তাহলে দিনে অন্তত একবার তুলসী পাতা দিয়ে চা বানান। পানি গরম করে তাতে কয়েকটি তুলসী পাতা ফুটতে দিন। মিনিট তিনেক পর সেই পানি ফুটে গেলে ছেঁকে খেতে পারেন।
৩) তুলসী পাতা ভেজানো পানিও শরীরের জন্য উপকারী। রাতে এক গ্লাস পানিতে তুলসী পাতা ভিজিয়ে রেখে চাপা দিয়ে দিন। পরের দিন সকালে সেই তুলসী ভেজানো পানি খেয়ে নিন।
৪) অনেক সময়ে রান্নাতেও তুলসী পাতা ব্যবহার করা যায়। যে ধরনের রান্নায় তুলসি পাতা দিলে স্বাদ বাড়বে, সেই রকম রান্নায় তুলসী পাতা দিতে পারেন। তবে চায়ের কাপে চায়ের সঙ্গে বেশির মানুষ এটি খেয়ে থাকেন।