কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

পেয়েছে বাইক, ক্যামেরা না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমরুল কায়েস নামে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

ওই শিক্ষার্থীর গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বাবা শহীদুল্লাহ ও মা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয় কায়েস।

আরিয়ান নামে কায়েসের এক সহপাঠী জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে রুমের দরজা বন্ধ করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে কায়েস। ঘটনার কিছু দিন আগে মায়ের কাছে মোটরসাইকেল কিনে চেয়েছিল। মোটরসাইকেলও কিনে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার আগে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনতে চায়। কিন্তু মধ্যরাতে ক্যামেরা কিনতে যাওয়া যাবে না বলে মা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। এরপর সে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়। পরে রুমের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তার সহপাঠীদে সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কায়েস মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। পুনর্বাসন কেন্দ্রেও ছিল কিছু দিন। এর মধ্যে বিভাগের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলে সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে ভর্তিও হয়েছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইমরুলের টাইমলাইনে কয়েক দিন ধরে হতাশা আর আত্মহত্যা নিয়ে পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছিল। ব্যর্থতা আত্মহত্যার মূল এবং পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করছিলেন। সেই ছবিতেও হতাশামূলক ক্যাপশন দিতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে যশোরের ঝিকরগাছা থানায় একাধিকবার ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত: