কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

উখিয়ায় নৌকা প্রতীক পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঢাকায় দৌড়ঝাঁপ

 

এম ফেরদৌস ( উখিয়া-কক্সবাজার)
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উখিয়া উপজেলার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেতে প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড হতে যেকোনো সময় প্রার্থীদের গুনগত দেখে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন। এ সময় সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলের জেলা উপজেলার শীর্ষ নেতাদের নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

উখিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, হলদিয়াপালং, রত্নাপালং, জালিয়াপালং রাজাপালং, পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনে মনোনয়ন জমাদানের শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর, বাছাই ২০ অক্টোবর, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর।

উখিয়ায় দ্বিতীয় ধাপে মোট ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তৃণমূল থেকে প্রার্থী বাছাই করে কেন্দ্রে তালিকা পাঠানোর পরেই দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। নিজেকে দলীয় যোগ্য প্রার্থী হিসেবে প্রমাণ দিতে নানা ধরণের তদবির লোভিং এ ব্যস্ত রয়েছে।

এদিকে আওয়ামীগের মনোনয়ন বোর্ডের সুত্রে জানা যায় শনিবার বা রবিবার যে কোন সময় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের কেন্দ্রীয় কমিটি চূড়ান্ত প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষনা দেওয়ার কথা রয়েছে।

উখিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থীরা ঢাকায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন সেটি এবারের নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইজবুক) বেশ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।

এ ছাড়া গ্রামেগঞ্জে ভোটারদের পদভারে পাড়া, মহল্লা, হাট-বাজার, চায়ের দোকানে নির্বাচনী আমেজ জমে উঠেছে। আলোচিত হচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যাম ফেইসবুকে পোস্টারে ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের ছবি। চলছে প্রার্থীদের চুলচেড়া বিশ্লেষণ। কে এলাকার উন্নয়ন করেছে, কে করতে পারবে না। আবার কে কোন দলের মনোনীত প্রার্থী কে হবেন বিদ্রোহী প্রার্থী। রাজনৈতিক দলের ‘গ্রুপ রাজনীতিতেও’ প্রভাব ফেলছে ভোটারদের। এমনকি প্রার্থীদের পূর্ব পুরুষের কর্মকাণ্ড আলোচনায় চলে আসছে।

তবে উখিয়ায় ৫ টি ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন পেতে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বীতার জন্য মাঠে নেমেছেন। বিএনপিসহ অন্য দলগুলো এখন পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার না করায় অনেকটা একচেটিয়াভাবেই মাঠে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

অপরদিকে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় ঘোষণা দেওয়ায় এ দলের প্রার্থীদের ইচ্ছে থাকলেও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে রাজি হচ্ছে না। তবে গোপনে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখছেন বলে দলটির একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীই জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: