কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

প্রশাসনের নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে

উখিয়ায় সড়কেই পণ্য ওঠানামা

নিজস্ব প্রতিবেদক::
কক্সবাজারের উখিয়া বাজারের প্রধান সড়কের ওপর ভারী যানবাহন দাঁড়িয়ে পণ্য ওঠানামা করায় বাড়ছে যানজট। সড়কের দুপাশের বিপণি বিতান, কাঁচামাল, মুদির দোকান, স্টেশারীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান রয়েছে। এসব দোকানে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পণ্য ওঠানামা করানো হয়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে “সড়ক, মহাসড়ক ও বিভিন্ন স্টেশনে সৃষ্ট যানজট নিরসনকল্পে করণীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে রাত ৮টা থেকে ভোর ৬টা ব্যতিত অন্য সময়কালে সড়ক সংলগ্ন উপজেলার ছয়টি বাজারে বাণিজ্যিক পণ্য সরবরাহে ব্যবহৃত পরিবহন গুলো কোন প্রকারের মালামাল উঠানো বা নামাতে পারবেনা।
নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সড়কেই পণ্যবাহী ট্রাক ও কার্গো ট্রাক দীর্ঘসময় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এতে যানজট লেগেই থাকে। এ ছাড়া ফুটপাত দখল করে সারি সারি দোকান বসিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতি। আর যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা তো রয়েছেই।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের লাগোয়া মুদির দোকান সিরাজ সওদাগরের সড়ক বন্ধ আটকে একটি ট্রাকে মাল ওঠানামা করানো হচ্ছে। এ সময় দুপাশে তিন শতাধিক যানবাহনের জটলা দেখা যায়। খানিক দূরে সড়কের ওপর ভ্যান দাঁড় করিয়ে নানান রকম পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এতে সাধারণ জনগণ হেঁটেও চলাফেরা করতে পারছে না। এ ছাড়া পুরো বাজারে আবর্জনার স্তূপ তো আছেই। উপজেলা প্রশাসন একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে। তবে অভিযানের পরপরই জিনিসপত্র সাজিয়ে বসে যায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
উখিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রধান সড়কে যানজট লেগেই থাকে। মূলত সড়কের ওপর ট্রাক ও পণ্যবাহী চাঁন্দেরগাড়ি দাঁড় করা থাকে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন আহমেদ বলেন, যানজট নিরসনে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। গত বৈঠকের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি-ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, বাজারের ইজারাদার, পরিবহন সংগঠনের প্রতিনিধিরাসহ সংশ্লিষ্টদের দেখবাল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল৷ কেউ গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো অমান্য করে সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তাহলে দেশের প্রচলিত আইনে অমান্যকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: