কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ঝর্ণার রাজ্য লুকিয়ে সীতাকুণ্ডের গহীনে

সীতাকুণ্ড চট্টগ্রামের একটি উপজেলা যা পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ঝর্ণা, পাহাড়, ঝিরি, মেঘের দেখা কি নেই এখানে? আর এ কারণেই প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক সীতাকুন্ড ভ্রমণে যাচ্ছেন। কেউ ক্যাম্পিং করছেন আবার কেউবা ট্রেকিং করে ঝর্ণায় গা ভিজিয়ে দিনে দিনেই ফিরে আসছেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা এসব জায়গা থেকে ডে ট্রিপ দিয়ে ফিরে আসা যায় বলে বর্তমানে আরও বেশী আকারে জনপ্রিয়তা পেয়েছে সীতাকুন্ড।

সীতাকুণ্ড এবং এর আশেপাশের সব দর্শনীয় স্থান দেখতে গেলে একজন ভ্রমণকারীকে অবশ্যই কয়েকদিন অবস্থান করতে হবে। কেউ যদি ফেনী থেকে ট্রেইল শুরু করেন তাহলে বড় কমলদহ, ছোট কমলদহ, নাপিত্তাছড়া, খৈয়াছড়া বেড়িয়ে সহস্রধারা আর সুপ্তধারার লাস্যময়ী ঝর্ণা দেখতেই তার ৩ দিন লাগবে। সীতাকুণ্ড এর কাছেই আছে বাঁশবাড়িয়া আর গুলিয়াখালি সমুদ্রসৈকত।

এসবের পাশাপাশি হাজারিখিল বা বাড়ৈয়াঢালা বনে যদি আলাদা করে ট্রেকিং করতে চান তাহলে তো আরও সময় লাগবে, তাই না? পবিত্র চন্দ্রণাথের পাহাড়ও কিন্তু মিস করা মতো নয়।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে যাওয়ার পথেই বন্দরনগরী চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার সিটি গেট থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরত্ব। ঢাকা থেকে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে প্রবেশের আগেই পড়বে সীতাকুণ্ড শহর। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের যে কোনো বাসে করেই সীতাকুণ্ড যেতে পারেন। এরপর ফকিরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজি কিংবা অটোরিকশা দিয়ে সীতাকুণ্ড যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

সীতাকুন্ড কাঁচা বাজার এলাকায় এবং সীতাকুণ্ড থানা সংলগ্ন এলাকায় মোটামুটি মানের অল্পকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে যাদের মধ্যে হোটেল কম্পোট জোন, জলসা, নিউ সৌদিয়া, সৌদিয়া, সায়মন উল্লেখযোগ্য। হোটেল কম্পোট জোন, জলসা, নিউ সৌদিয়া অপেক্ষাকৃত নতুন এবং মান ভালো। এদের রুম ভাড়া এসি ডাবল বেড – ১০০০ টাকা এবং নন এসি ৫০০-৭০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া চট্টগ্রাম শহরের যে কোনো মানের হোটেল বা রেস্টুরেন্ট পেয়ে যাবেন। থাকা-খাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শহরে বিভিন্ন মান ও দামের আবাসিক হোটেল-মোটেলের সুব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া সীতাকুণ্ড অথবা ভাটিয়ারীতে থাকার জন্য আবাসিক সুব্যবস্থা রয়েছে।

পাঠকের মতামত: