কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ফেনীতে অনলাইনে পাখি বিক্রির নামে প্রতারনা পুলিশের তৎপরতায় টাকা ফেরত পেল ভুক্তভোগী

 

ফেনীতে অনলাইনে পাখি বিক্রির নামে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশের তৎপরতায় টাকা ফেরত পেয়েছে ভুক্তভোগী। সোমবার জেলা পুলিশের ফেসবুক পেইজে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ সুপার।

জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার আব্দুল্লাহ আল তামিম (২০) দীর্ঘদিন ধরে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে বসবাস করছে। তার পাখি পালন করার শখ থেকে আয় করার মনোভাব পোষণ করে পাখি লালন-পালন শুরু করেন। গত দুই বছর যাবত বিভিন্ন জাতের পাখি লাভ বার্ড, ককটেল, কোয়েল, ঘুঘু, বাজিগার, কবুতর, মুরগির বাচ্চা, হাঁসের বাচ্চা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে আসছিলো। গত পাঁচ-ছয় মাস সে ফেইসবুকেও পাখি বেচা-কেনা করে। ফেসবুকে বিভিন্ন পেইজের মাধ্যমে পাখিওয়ালা ভাই, বিসমিল্লাহ কোয়েল হ্যাচারী, ফেনী পোল্ট্রি এন্ড চিক্স, সোহান পোল্ট্রি হ্যাচারি নামে বিভিন্ন পেইজ খুলে অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা শুরু করে তামিম। তার পেইজ গুলোতে পাখিদের বিভিন্ন আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে পাখিপ্রেমী সাধারণ মানুষ পাখি ক্রয় করার জন্য সরল বিশ্বাসে অনলাইনে চাহিত অর্থের বিনিময়ে বুকিং দিয়ে অর্ডার করে।

অভিযুক্ত ব্যক্তি অনলাইন ভিত্তিক ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে পাখি বিক্রয়ের অর্থের বিনিময়ে বুকিংকৃত অর্ডার মোতাবেক চাহিত পাখি প্রেমীদের কাছে সরবরাহ না করে উক্ত অর্থ প্রতারণা করে আসছে। অনলাইনে অর্ডার করে ক্রেতা থেকে বিকাশের মাধ্যমে অগ্রিম টাকা নিয়ে ক্রেতাকে পাখি সরবরাহ না করে মোবাইল ফোন রিসিভ না করে তালবাহনা করতে থাকে।

সম্প্রতি ঢাকার বাসিন্দা জনৈক মিসেস লিজা প্রতারিত হয়ে অভিযুক্ত তামিমের পাখি ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত পেইজ “সোহান পোল্ট্রি হ্যাচারি”র বিরুদ্ধে ফেনী জেলা পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। পুলিশ অভিযুক্ত যুবক আব্দুল্লাহ আল তামিমকে থানায় নিয়ে এসে পাখি ক্রয়-বিক্রয়ের প্রতারণার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে প্রতারণার কথা স্বীকার করে। এসময় সে নিজের ভুল বুঝতে পেরে সবার কাছে বিকাশের মাধ্যমে টাকা প্রেরন করে দেয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) বদরুল আলম মোল্লা জানান, অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল তামিমের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অনলাইনে প্রতারনা ফাঁদে যাতে কেউ না পড়ে সেজন্য যাচাই-বাছাই করে কেনাকাটা করার জন্য ফেনীবাসীর প্রতি অনুরোধ করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

পাঠকের মতামত: