কক্সবাজার, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

জার্মান সুন্দরী গোপালগঞ্জের বধূ

প্রকৃতিতে ঋতৃরাজ বসন্ত। চারিদিকে ফুলের সমারোহ। এমন মধুময় পরিবেশে প্রেমের টানে জার্মান সুন্দরী জেনিফার স্ট্রায়াস গোপালগঞ্জে ছুটে এসছেন। প্রিয় মানুষটির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

ভিনদেশি বধূ পেয়ে খুশি পরিবারের সদস্যরা, বইছে খুশির বন্যা। নব বধূকে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের আনন্দঘন মুহূর্ত কাটছে।

রবিবার গোপালগঞ্জের একটি আদালতের মাধ্যমে জেনিফার স্ট্রায়াস ও চয়ন ইসলামের বিবাহ সম্পন্ন হয়। এই খবরে হৈ-চৈ পড়ে যায় পুরো এলাকায়।

জার্মান বধূকে দেখতে ছুটে আসেন দলে দলে।জার্মান তরুণী জেনিফার স্ট্রায়াস গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামেন।  সেখানে তার প্রেমিক চয়ন ইসলাম ও তার স্বজনেরা তাকে স্বাগত জানান। রাতেই তারা জেনিফারকে নিয়ে গোপালগঞ্জ শহরে চলে আসেন।

শহরের মডেল স্কুল রোডের ফুফাতো ভাই আব্দুর রহমানের বাড়িতে রাত্রী যাপন করেন। রবিবার সকালে পরিবারের লোকজন নিয়ে আদালতে গিয়ে তারা বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন।প্রেমিক চয়নের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুরা গ্রামে। তার বাবা ইতালি প্রবাসী রবিউল ইসলাম। চয়ন কিছুদিন ইতালি থাকার পর জার্মানিতে চলে যান।

প্রায় পাঁচ বছর আগে জার্মান ভাষা শিখতে একটি শিক্ষা কোর্সে ভর্তি হন তিনি। সেখানে পরিচয় হয় জেনিফারের সঙ্গে। আর সে পরিচয় থেকেই তাদের মধ্যে প্রণয় হয়।২০২২ সালের ১০ মার্চ চয়ন বাংলাদেশে চলে আসেন। তারপরও তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে। ভালোবাসার টানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জেনিফার অবশেষে ছুটে আসেন প্রেমিক চয়নের কাছে। গোপালগঞ্জে পৌঁছানোর পর চয়নের স্বজনেরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জেনিফারকে

জেনিফার একজন মাধ্যমিক লেভেলের শিক্ষার্থী। জার্মানির বাইলেফেল্ড স্টেটে বাবা-মার সঙ্গেই বসবাস করতেন। তার বাবার নাম জোসেফ স্ট্রায়াস ও মাতার নাম এসাবেলা স্ট্রয়াস। চয়নের ভাগ্নি সানজিদা আক্তার সিমি বলেন, জার্মান থেকে আমাদের মামি এসেছেন।  আমরা অনেক খুশি। সারাদিন মামিকে নিয়ে অনন্দেই কেটে যাচ্ছে।

চয়নের মা ঝর্ণা বেগম বলেন, ভাবতেও পারিনি জেনিফার আমাদের সঙ্গে এতো সহজে মিশে যেতে পারবে। বিদেশি বৌমাকে পেয়ে আমরা সবাই খুশি। অল্প সময়েই মধ্যে সে সবাইকে খুব আপন করে নিয়েছে। গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আনন্দ-উৎসব করে আমরা নববধূকে সবাই বরণ করে নেব।

জেনিফার তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশকে আমি ভালোবেসে খুশি হয়েছি। এখানকার পরিবেশ, আতিথিয়েতা ও সবার ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। পরিবারের সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে। সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে চলতে পেরে আমি খুশি।

চয়ন ইসলাম বলেন, আমি জার্মানিতে পড়াশোনা করার সময় জেনিফারের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ভালোবাসা। দীর্ঘ ৫ বছরের সম্পর্ক আমাদের। আমি সেখানে একটি চাকরি করতাম, সেটা ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসি। আমার ভালোবাসার টানে জেনিফার বাংলাদেশে চলে এসেছে। আমরা বিয়ে করেছি।  আমার ও জেনিফার পরিবারের সবাই খুব খুশি। কিছু দিনের মধ্যে জেনিফারের বাবা-মা বাংলাদেশ আসবেন। তখন মহা-ধুমধামে বিয়ের অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা আছে।

পাঠকের মতামত: