কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে : এমপি জাফর আলাম

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার এক আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম। আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) চকরিয়া-পেকুয়া ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত নবীন বরণ ও মিলনমেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, কক্সবাজারে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার প্রচেষ্টা আছে সরকারের। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করতে হবে। আমি চাই সেই বিশ্ববিদ্যালয় চকোরিয়ায় হোক। যেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমার সন্তানরা সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।

জাফর আলম বলেন, রাজনীতি মানে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা নয়। রাজনীতি মানে সাধারণ মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকা। এক সময় এই ক্যাম্পাসে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিদের জয়জয়কার ছিল। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় রাজনৈতিক রোশানলের শিকার হয়ে ২৯ বার জেল খেটেছি। তৎকালীন সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে যারা এ ধরণের কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা এখন ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। এমপি বলেন, আপনারা জানেন পৃথিবীর সবচাইতে জনসংখ্যা সমৃদ্ধ দেশ বাংলাদেশ। প্রায় ১৬ কোটির অধিক। আমাদের ভৌগলিক সীমানা ছিল সীমিত। সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুর কন্যা তার বাবার দায়ের করা মামলা আন্তর্জাতিক আদালতে নিজে পরিচালনা করে মায়ানমার থেকে সীমানা উদ্ধার করলেন।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিমার প্রচেষ্টাতেই কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হচ্ছে, রামুতে ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করা হয়েছে, কক্সবাজারে করা হয়েছে মেডিকেল কলেজ। এক সময় পেকুয়া-চকরিয়া বলতে মানুষ বুঝত শুধু সালাউদ্দিন কাদেরকে। এখন আর সেই সময় নেই। এখন হয়েছে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ। এর আগে সকাল পৌনে দশটার সময় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু সার্টিফিকেট আদান প্রদান করার জন্য সৃষ্টি হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি হয়েছে জ্ঞান সৃজন, জ্ঞান বিকিরণ ও গবেষণার জন্য। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদেরকে গবেষণায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমি বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। যার অন্যতম হল আইটি পার্ক। আমরা এখন সর্বাত্মক চেষ্টা করছি আইটি পার্কের প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে। আইটি পার্কটি হয়ে গেলে ইউজিসির অর্থের দিকে আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবেনা। আইটি পার্কের আয় দিয়েই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে চালাতে পারব। অনুষ্ঠানে চকরিয়া-পেকুয়া ছাত্র ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসাইনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন ভুগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও আলাওল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আব্দুল হক।

পাঠকের মতামত: