কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

দৈনিক কালের কন্ঠ অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে এমপি বদির বিবৃতি ও ব্যাখ্যা

১৪ এপ্রিল “দৈনিক কালের কন্ঠ অনলাইন নিউজ পোর্টালে” “১০ টাকা কেজির চাল কিনে বিতরণ করছেন সাবেক এমপি বদি” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদে আমাকে জড়িয়ে যে সব কেচ্ছা কাহিনী রটানো হয়েছে তা সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য মুলক। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিগত সময়ে আমি উখিয়া-টেকনাফ আসন থেকে সাধারণ জনগণের ভোটে দুই দু’বার এমপি নির্বাচিত হয়েছি এবং গরিব দু:খী আসহায় মানুষের সুখে-দু:খে, আপদে-বিপদে সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে পাশে ছিলাম।

তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে আমি এখনো তাদের পাশে আছি এবং খাদেম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। এ কারণে উখিয়া-টেকনাফের গরীব, দু:খী ও মেহনতী সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোবাসেন তাই আমার জনপ্রিয়তা আকাশ চুম্বী। আমার জনপ্রিয়তা দেখে এলাকার একটি স্বার্থন্বেষী মহল বিগত সময় থেকে এখনো পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগে আছে। ওই স্বার্থন্বেষী মহল রাষ্ট্র, প্রশাসন ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে এমন ডাহা মিথ্যা নিউজ প্রচার করে যাচ্ছেন। যার ফলে বিগত সময় থেকে এখনো পর্যন্ত আমি তথ্য সন্ত্রাসের শিকার হয়ে আসছি।

আসল ঘটনা ও প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে আমার ব্যাখ্যা হচ্ছে, সম্প্রতি সরকারের খোলা বাজারে (ওএমএস) ১০ টাকায় কেজি চাল বিক্রি কর্মসূচির আওতায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১২শ’ হতদরিদ্র মানুষের জন্য ৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়। দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য দেওয়া এমন জনবান্ধব কর্মসূচির চাল ৫০ টাকা মূ্ল্যে জন প্রতি ৫ কেজি করে বরাদ্দের নিয়ম বেধে দেয় প্রশাসন। নিয়ম অনুসারে টেকনাফ পৌরসভার ১২শ’ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে উক্ত চাল বিতরণও হয়েছে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গণের করা তালিকার ভিত্তিতে যাচাই-বাচাই করে সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত ডিলারদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট টেক অফিসারের উপস্থিতিতে চাল গুলো বিতরণ করা হয়। যার প্রমাণ সংরক্ষিত রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে চাল বিতরণ নিয়ে আমার কিংবা আমার পরিবারের কোন ভূমিকা ছিলনা। ওই পুর্বের ন্যায় জনসেবা ছিল আমার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া জনপ্রতি ৫ কেজি চালের মূল্য বাবত ৫০ টাকা করে ১২শ’ গরিব পরিবারকে সাহায্য-সহযোগিতার উদ্দেশ্য ডিলারদের পরিশোধ করি। বর্তমানে দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত ভয়াবহ দূর্যোগে মানুষের আয় রোজগার যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন অসহায় সাধারণ মানুষদের সহযোগিতা করাই ছিল আমার মুল উদ্দেশ্য। তবে চাল বিতরণে কোন ধরণের অনিয়ম কিংবা আত্মসাৎ হয়নি। অর্থ‍াৎ ওয়ার্ড় কাউন্সিরদের করা ১২শ; পরিবারই যথা নিয়মে চাল গুলো পেয়েছেন। জনবান্ধব সরকার জনগণের সুবিধার্থে যে সুযোগ সুবিধাদি দিয়েছেন তা সরাসরি সাধারণ মানুষই উপলব্ধি করেছেন।

পরিশেষে বলতে চাই অসহায় হতদরিদ্রদের বিপদের সময় সাহায্য-সহযোগিতা করতে গিয়ে যদি গলায় ফাঁসিও পড়তে হয় তা স্বেচ্ছায় মেনে নিতে রাজি আছি। সুতারাং সংবাদে আমার বিরুদ্ধে যে সব কল্প কাহিনী সাজানো হয়েছে তা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য মুলক। প্রকাশিত সংবাদে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সহ কাউকে বিভ্রান্তি না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি সাংবাদিক ভাইদের যাচাই-বাছাই পূর্বক তথ্যবহুল সংবাদ তোলে ধর‍ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী

আবদুর রহমান বদি
সাবেক সাংসদ
কক্সবাজার-৪, (উখিয়া-টেকনাফ)।

পাঠকের মতামত: