কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামে দোকান কর্মচারীর মৃত্যুর ঘটনায় এএসআই বরখাস্ত

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানাধীন টেরিবাজারের দোকান কর্মচারী গিরিধারী চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় কোতোয়ালী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কামরুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অপেশাদার আচরণের প্রমাণ তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানা গেছে।

শনিবার এএসআই কামরুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান।

এর আগে শুক্রবার রাতে সিএমপির গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে গিরিধারী চৌধুরীকে টানা হেঁচড়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অপর এক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে অপেশাদার আচরণের প্রমাণ মেলে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ এপ্রিল বিকেলে নগরের টেরিবাজার এলাকায় পুলিশের হাতে মারধরের শিকার হন দোকান কর্মচারী গিরিধারী চৌধুরী। তিনি টেরিবাজারের প্রার্থনা বস্ত্রালয়েয় চাকরি করতেন। ওই দিন বিকালে দোকানের একটি অংশ খুলে মালামাল বিক্রয় করছিলেন গিরিধারীসহ দোকানটির অন্যান্য কর্মচারীরা। এ সময় কোতোয়ালী থানার এএসআই কামরুলসহ পুলিশের একটি টহল দল গিরিধারী চৌধুরীকে টেনে হেঁচড়ে পার্শ্ববর্তী বক্সিরহাট পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মারধর ও ভয় দেখানো হলে তিনি মারা যান বলে অভিযোগ তুলে তার পরিবার।

তার মৃত্যুর পর লোকজন জড়ো হয়ে কোতোয়ালী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কামরুলকে দায়ী করে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওই এলাকায় টহল টিমে থাকা কোতোয়ালী থানার এএসআই কামরুল ও দুই কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছিল। পরে ঘটনা তদন্তে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। কমিটির দেয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কামরুলকে সাময়ীক বরখাস্ত করে সিএমপি।

পাঠকের মতামত: