কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

প্রত্যাহারের দাবী উখিয়া প্রেসক্লাবের

উখিয়ার সাংবাদিক শ.ম.গফুর ইয়াবা সিন্ডিকেটের মিথ্যা মামলার শিকার

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি::

কক্সবাজার জেলা শহর ও উখিয়ায় দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে কর্মরত সাংবাদিক, উখিয়া প্রেসক্লাবের সদস্য শ.ম.গফুর ঘুমধুম সীমান্তের চিহ্নিত ইয়াবা সিন্ডিকেটের মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন।জানাগেছে,বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের চিহ্নিত ইয়াবা সিন্ডিকেট,তুমব্রু পশ্চিমকুলের ছৈয়দ আলমের ছেলে,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি জসিম উদ্দিনের ইয়াবার চালান মনিটিংয়ের দায়িত্বে থাকা আপন সহোদর বড় ভাই জকির আহমদ ওরপে জহির আহমদ বাদী হয়ে মিথ্যা চাঁদা দাবীর অভিযোগ সৃজন করে শ.ম.গফুর কে ১ নং,তাতে জকির আহমদের পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে আরো ২ মহিলাকে আসামী করা হয়। বান্দরবান চীফ জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (আমলী) কোর্টে ূায়ের করা ফৌজদারি অভিযোগে শ.ম.গফুর ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছে মর্মে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়।

মামলা নং- সি আর -৬১। ফৌজদারি অভিযোগ খানা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজার কে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয় আদালত।উক্ত মামলায় শ.ম.গফুর ছাড়াও জকির আহমদ তাঁর পরিবারের দাম্পত্য কলহের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে তাঁর স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকেও উক্ত মামলায় অভিযুক্ত করেছে।

মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত সাংবাদিক শ.ম.গফুর অভিযোগ করে জানান,বিগত ২০১৭ সালে ইয়াবা ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ও তাঁর ভাই জকির আহমদ ওরপে জহির আহমদের ইয়াবা ব্যবসা সংক্রান্ত বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশ করেন।জকির আহমদের আপন ছোট ভাই জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।উক্ত মামলাদ্ধয়ে জসিম উদ্দিন নিজের নাম, ঠিকানা গোপন করে ভুঁয়া নাম ঠিকানায় জামিনে বেরিয়ে আত্নগোপনে রয়েছে।তাঁর ইয়াবার ভান্ডার দেখভাল করে থাকেন বড় ভাই জকির আহমদ। যিনি মিথ্যা মামলার বাদী হয়েছেন।বিগত ২০১৭ সালে জকির আহমদ ও জসিম উদ্দিনের মধ্যে আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ হলে, জসিম উদ্দিন যে ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁর মামলার নথিপত্র জকির আহমদই তুলে এনে ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে প্রচার করেন এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন করান।তাঁর জের ধরে জকির আহমদ জসিমের সাথে হাত মিলিয়ে

সাংবাদিক ঠেকাতে লাখ-লাখ টাকা বিনিয়োগ করছেন ।চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী পরিবারে স্ত্রী শামিমা সোলতানার সাথে ১০/১২ লাখ টাকা ঋনের বিষয় এবং তুমব্রু পশ্চিমকুল লতিফিয়া জামে মসজিদ ও লতিফিয়া হিফজুল কোরান মাদ্রাসার কমিটি নিয়ে বিরোধে পুরনো মাদ্রাসা স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলেন জকির আহমদ।এনিয়ে স্ত্রী বাধা দেন জকির আহমদকে।বাধা দেওয়ায় স্ত্রী শামিমা সোলতানাকে মেরে রক্তাক্ত করে, তালাক দিয়ে এক কাপড়ে ঘরছাড়া করেন জকির।স্ত্রী শামিমা সোলতানা ওই দিন নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় সাধারণ ডায়রী লিপিবদ্ধ করেন।শামিমার উপর নির্যাতনের ক্ষত চিহ্নের ছবি সহ সংবাদ প্রকাশ করেন শ.ম.গফুর।জকিরদের ইয়াবা এবং স্ত্রী নির্যাতনের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের জেরে ক্ষুদ্ধ হয়ে জকির আহমদ শ.ম.গফুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
উক্ত মিথ্যা মামলা অভিলম্বে প্রত্যাহার চেয়ে এবং মিথ্যা মামলাবাজ পরিবারের ঘুমধুম সীমান্তের ইয়াবা সিন্ডিকেট সদস্যদের গ্রেফতার পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানিয়েছেন উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সরওয়ার আলম শাহীন,সাধারণ সম্পাদক কমরুদ্দিন মুকুল,সহসভাপতি আমানুল হক বাবুল,সহসাধারণ সম্পাদক এএইচ সেলিম উল্লাহ,অর্থ সম্পাদক আমিনুল হক আমীন,সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, ক্রীড়া, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবির বাচ্চু,কার্য নির্বাহী সদস্য রফিক উদ্দিন বাবুল,সাইফুর রহিম শাহীন ও দীপন বিশ্বাস সহ প্রেসক্লাবের সদস্য ও সাবেক সভাপতি এড.আবদূর রহিম,সদস্য ও সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ,সদস্য নুরুল আমিন সিদ্দিক,সদস্য ও সাবেক সহসভাপতি গফুর মিয়া চৌধুরী, সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃহানিফ আজাদ,সদস্য এসএম আনোয়ার হোসেন, সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির জুশান,সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দে,সদস্য আবদুল মাবুদ চেয়ারম্যান, সদস্য মাওলানা নুরুল হক,সদস্য জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সদস্য ও সাবেক অর্থ সম্পাদক শফিক আজাদ,সদস্য নুরুল হক খান,সদস্য নুর মোহাম্মদ শিকদার, সদস্য এড.আয়ুবুল ইসলাম, সদস্য ওবাদুল হক চৌধুরী আবু, মাহমদুল হক বাবুল ও আবদুল্লাহ আল আজিজ প্রমুখসহ উখিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকগণ।বিবৃতি দাতা অভিলম্বে সাংবাদিক শ.ম.গফুরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পাঠকের মতামত: