কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

অনলাইন ক্লাসের চাপ, গায়ে আগুন দিয়ে ছাত্রীর আত্মহত্যা!

বাড়িতে থাকা টিভি নষ্ট, নেই স্মার্টফোনও। কিন্তু ক্লাস করতে হবে অনলাইনে। তাই কোনো উপায় না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে এক ছাত্রী। গতকাল সোমবার ভারতের কেরালা রাজ্যে ঘটে এমন ঘটে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজর প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজ্যের মলপ্পুরম জেলার ভেলেঞ্চেরি শহরের ছাত্রী দেবিকা বালাকৃষ্ণন। ১৪ বছরের দেবিকা নবম শ্রেণির ছাত্রী। করোনাভাইরাসের চলমান সংকটে জারি হওয়া লকডাউনের জেরে টিভি বা স্মার্টফোনে পড়াশোনা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কেরালা সরকার। তাতেই বিপাকে পড়ে সে। বাবা অসুস্থ, কোনো রোজগার নেই। তাই বারবার বলেও ঘরের টিভি ঠিক করা হয়নি। এমন পরিস্থিতে পড়াশোনা না চালাতে পারায় মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল দেবিকা।

গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে দেবিকার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবারের সদস্যরা। কিছুক্ষণ পরে বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে খোঁজ মেলে মেয়েটির আগুনে ঝলসানো দেহ। পাশে পাওয়া যায় কেরোসিনের বোতল ও একটি চিরকুট। সেই চিরকুটে লেখা, ‘আমি চলে যাচ্ছি।’

প্রতিবেশীদের ধারণা, অনলাইন ক্লাসে যোগদান করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছে দেবিকা।

দেবিকার বাবা বলেন, ‘সে বারবার বলেছিল, টিভি সারাতে। আমার না আছে টিভি সারানোর মতো টাকা, না আছে স্মার্টফোন কেনার টাকা।’

দেবিকার মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন কেরালার শিক্ষামন্ত্রী সি রবীন্দ্রনাথ। তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব পড়ুয়াদের জন্য পার্শ্ববর্তী স্থানে টিভির ব্যবস্থা করেছিলাম। অনুষ্ঠানগুলো বারবার সম্প্রচার করছিলাম। এটা খুবই বেদনাদায়ক যে, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।’

পাঠকের মতামত: