কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

রেড জোনে সাধারণ ছুটি, রোববার নতুন নির্দেশনা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে রেড জোন চিহ্নিত এলাকা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি জানান, এনিয়ে রোববার (১৪ জুন) নতুন নির্দেশনা দেয়া হবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে।

শনিবার (১৩ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নতুন করে আর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে না। বর্তমানে যে অবস্থায় চলছে সবকিছু সেভাবেই চলবে। তবে যে এলাকা রেড জোনের আওতায় থাকবে, সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে। এ সংক্রান্ত আরও কিছু পরামর্শ ও নির্দেশনা আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পাবো। সেই পরামর্শ ও নির্দেশনাগুলোকে একত্রিত করে আগামীকাল (রোববার) নাগাদ প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করবো।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত পরিসরে অফিস চালু করেছে সরকার, খুলে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন। ১৬ জুন থেকে এভাবেই অফিস চলবে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। কারণ করোনা মোকাবেলার জন্য বিকল্প হিসেবে আমরা জোনিংয়ে যাচ্ছি।

“যেখানে রেড জোন হবে সেটাকে ব্লক করব। সেটাকে ম্যানেজমেন্ট করার চেষ্টা করব, খুব ভালো ম্যানেজমেন্ট করব। সেখানে সাধারণ ছুটি থাকবে। রেড জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে যে যেখানে আছে সেখানেই থাকবে।

লকডাউন করা এলাকায় সরকারি-বেসরকারি সব চাকরিজীবীই ছুটি ভোগ করবেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোববার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

তিনি বলেন, আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই সারা দেশে অধিক সংক্রমণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা শুরু হবে।

রেড জোনগুলোতে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় বুথ বসানো হবে জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, সেখানে চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। চারপাশ থেকে ওই অঞ্চলকে ঘিরে দেয়া হবে যাতে মানুষ বাইরে বের হতে না পারে। রেড জোন এলাকায় সবকিছু রেখেই পরিপূর্ণিভাবে এটা বাস্তবায়ন করা হবে। যেহেতু আমরা রেডজোন ঘোষণা করে সেখানে ব্লক করব, তাই ১৬ জুন থেকে এভাবেই চলতে থাকবে।

এদিকে রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্যমতে, রাজধানীর ৪৯টি এলাকায় ৬০ জনের বেশি নিশ্চিত করোনা রোগী রয়েছেন। সেই হিসাবে এসব এলাকা শিগগির লকডাউন হতে পারে। এলাকাগুলো হচ্ছে- আদাবর, আগারগাঁও, আজিমপুর, বাবুবাজার, বাড্ডা, বনশ্রী, বনানী, বংশাল, বাসাবো, বসুন্ধরা, চকবাজার, ডেমরা, ধানমণ্ডি, ইস্কাটন, ফার্মগেট, গেন্ডারিয়া, গ্রিনরোড, গুলশান, হাজারীবাগ, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, কল্যাণপুর, কলাবাগান, কাকরাইল, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও, লালবাগ, লালমাটিয়া, মালিবাগ, মিরপুর, মিরপুর-১, মিরপুর-১২, মগবাজার, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, মুগদা, পল্টন, রাজারবাগ, রামপুরা, রমনা, শাজাহানপুর, শাহবাগ, শ্যামলী, শান্তিনগর, শেরেবাংলা নগর, তেজগাঁও, উত্তরা, ওয়ারী।

বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়েলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা করোনামুক্ত এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। রেড জোনকে লকডাউন করা হবে, ইয়েলো জোনে যেন আর সংক্রমণ না বাড়ে সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। সতর্কতা থাকবে গ্রিন জোনেও। লকডাউনের মেয়াদ হবে ১৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত।

গত ৯ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকাকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘রেড জোন’ হিসেবে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ১৪ দিনের জন্য এই লকডাউন কার্যকর করা হবে সেখানে।

পাঠকের মতামত: