কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফ সৈকতে ভেসে আসা মৃত তিমিকে মাটিচাপা

আব্দুস সালাম, টেকনাফ::

কক্সবাজারের টেকনাফের সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসা মৃত তিমিটিকে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলাপাড়া চর এলাকায় সৈকতেই মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এর আগে তিমিটির ময়নাতদন্ত করা হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও বন বিভাগের উদ্যোগে এ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

গত শনিবার বিকেলে সৈকতের প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধের প্রতিস্থাপন করা ব্লকে আটকে পড়ে তিমিটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

পরে স্থানীয় লোকজন লেজের সঙ্গে রশি বেঁধে তিমিটিকে সাগরে নামিয়ে দেন।

গত সোমবার জোয়ারের পানির সঙ্গে ভেসে আসে তিমিটি। প্রথম দেখতে পান একদল জেলে। এরপর খবর ছড়িয়ে পড়লে এটি দেখার জন্য স্থানীয় লোকজনের ভিড় জমায়।

উপকূলীয় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা অসীম বাড়ৈ বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. শওকত আলীর নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে। এরপর রাত সাড়ে আটটার দিকে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেন। এতে বলা হয়, গভীর সাগর থেকে কূলে এসে বালুরচরে আটকা পড়ে তিমিটি মারা গেছে। এটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, এত বড় তিমিটিকে কোথাও নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না।

তাই সৈকতে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। মাটিচাপা অবস্থায় থাকলে এক বছর পর সহজেই তিমিটির কঙ্কাল অবিকৃত অবস্থায় সংগ্রহ করা যাবে এবং তখন এটিকে প্রদর্শনও করা সম্ভব হবে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ভিডিও ও ছবি দেখে নিশ্চিত হয়েছি এটি তিমি। এই তিমির নাম ব্রিডস হোয়েল (Bryde’s Whale)। এর বৈশিষ্ট্য পিঠে গাঢ় ধূসর রং, পেটে হালকা ধূসর রং, মাথার দৈর্ঘ্য মোট দৈর্ঘ্যের চার ভাগের এক ভাগ। তবে এটি প্রাপ্তবয়স্ক তিমি নয়। সাধারণত বয়স্ক একটি তিমি প্রায় ৩০-৪০ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। টেকনাফের এ তিমিটি ১০ ফুটের মতো লম্বা। ভারত মহাসাগরে ১০ প্রজাতির তিমি রয়েছে।

পাঠকের মতামত: