অনলাইন ডেস্ক ॥ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও করোনাভাইরাস মহামারীর বিরুদ্ধে ‘ধারাবাহিক সংগ্রামের’ মধ্যেও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমানের উন্নতির আশ্বাস দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার পার্লামেন্ট।
পার্লামেন্টের এ আশ্বাসের কথা মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন দেশটির নিয়মরক্ষার পার্লামেন্ট সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলির (এসপিএ) সদস্যরা রবি ও সোমবার বাজেট নিয়ে আলোচনা এবং শিশু পরিচর্যা ও বিদেশে বাসিন্দাদের সুরক্ষা সংক্রান্ত আইন অনুমোদন করেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ।
এই বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন উপস্থিত ছিলেন না, ছিলেন তার অন্যতম প্রধান সহযোগী এসপিএ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ার চোয়ে রিয়ং হায়ে।
উত্তর কোরিয়ার পার্লামেন্ট সদস্যরা এমন এক সময়ে একত্রিত হলেন, যখন অস্ত্র কর্মসূচির কারণে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা এবং কোভিড-১৯ লকডাউনের কারণে প্রধান মিত্র ও অর্থনৈতিক ‘লাইফলাইন’ চীনের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামায় দেশটির অর্থনীতি কঠিন সময় পার করছে।
অর্থনীতির দেখভালের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিসভার প্রধান কিম তোক হুন এসপিএর বৈঠকে প্রধানত ধাতু ও রাসায়নিক শিল্পকে কাজে লাগিয়ে ৫ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার ভিত মজবুত করাকেই তার লক্ষ্য হিসেবে স্থির করেন বলে জানিয়েছে কেসিএনএ।
নিষেধাজ্ঞা, মহামারী ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে ২০২০ সালে দেশটির অর্থনীতি ২৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকুচিত হয়।
মহামারীতে উত্তর কোরিয়া আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় দেশটির সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষজন অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ রিপোর্টার।
পাঠকের মতামত: