কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

আগামীকাল শুরু হচ্ছে একাদশে ভর্তির আবেদন

আগামীকাল শনিবার থেকে অনলাইনে শুরু হচ্ছে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন।এবারও ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে কলেজ পাবেন আবেদনকারীরা। দুই মাস ধরে ভর্তি কার্যক্রম শেষে আগামী ২ মার্চ শুরু হবে ক্লাস।

ইতিমধ্যে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে রোডম্যাপ তৈরি করেছে। আবেদনে শিক্ষার্থীরা সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করবে। ভর্তির জন্য তিন ধাপে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। একাদশে ভর্তি হতে xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

এ ছাড়া পুনর্নিরীক্ষণের ফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন নেওয়া হবে ২২ জানুয়ারি ও ২৩ জানুয়ারি। ২৪ জানুয়ারি পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হবে। আর ২৯ জানুয়ারি প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। ৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে তাকে পুনরায় ফিসহ আবেদন করতে হবে। ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেওয়া হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। ১১ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চিত করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চিত না করলে আবেদন বাতিল হবে।

১৩ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন নিয়ে পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে। ১৯ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। আর ২ মার্চ থেকে কলেজগুলোতে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে।

প্রসঙ্গত, এ বছর প্রায় ২১ লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পাস করেছে। এত বিপুল শিক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত আসন আছে কি না, এ নিয়ে তাদের মনে আছে সংশয়। তবে শিক্ষাবোর্ডগুলো বলছে, সব শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পরও প্রায় ৫ লাখ আসন খালি থাকবে। তবে এবার ১ লাখ ৮৩ হাজার শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ায় ভালো ফলাফল নিয়েও অনেক শিক্ষার্থী মানসম্মত কলেজে ভর্তি হতে পারবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: